রুশ মিসাইলগুলোর একাংশ আমরা ধ্বংস করে দিতে পেরেছি। তবে সেটি খুবই সামান্য অংশ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এ কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, আমাদের আরও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। যেগুলো হবে আরও আধুনিক এবং কার্যকরি। এতে করে রুশ মিসাইল থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্দেশ্যে জেলেনস্কি বলেন, তারা যদি শুধু পর্যবেক্ষক না হয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনকে দেয়া উচিৎ। ইউক্রেনের দক্ষিণ অংশের ৪টি প্রদেশে রাশিয়া অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া ৬২টি মিসাইল ছুঁড়েছে ইউক্রেনে।
এদিকে জি-৭ সম্মেলনে পশ্চিমা ফ্রন্ট রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর কতদিন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যয়, বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা এবং যুদ্ধের ক্লান্তি যে নির্দিষ্ট অনিবার্যতা তৈরি করবে তা এই সংঘাত পরবর্তীতে কোথায় যায় সে বিষয়ে আলোচনা জরুরি হয়ে উঠেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন শুরু থেকেই বলে আসছেন যে, কোনো না কোনোভাবে ন্যাটো এবং জি ৭ বিচ্ছিন্ন হবে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দুটি আবাসিক ভবনে রোববারের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের পরে তার অনুরোধগুলি আরও জরুরি হয়ে উঠবে, যেটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে যুদ্ধ পূর্ব দিকে সরে যাওয়ার সাথে সাথে তুলনামূলকভাবে শান্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই হামলাকে ‘বর্বরতা’ বলে নিন্দা করেছেন।
কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টা পর সিএনএন-এর জেক ট্যাপারের সাথে ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং পশ্চিমের অন্যান্যদের মস্কোকে শাস্তি দেওয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্প বজায় রাখার আহ্বান জানান। জনসন বলেন, যদি আমরা পুতিনকে ইউক্রেন আগ্রাসন পুরো করতে দেই, তাহলে বিশ্বের জন্য এর পরিণতি একেবারেই বিপর্যয়কর।
এদিকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়াকে থামাতে তাদের হাতে আর কোনো রাস্তা নেই। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি তাই পশ্চিমা নেতাদের কাছে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা বৃদ্ধি করেছে রাশিয়া।
তিনি বলেন, ওই হামলায় ৩৭ বছরের এক ব্যক্তি আহত এবং অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে। এতে একটি কিন্ডারগার্টেন এবং একটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া মিকোলাইভ, চেরনিহিভ, ওডেসা, চেরকাসি অঞ্চলেও মিসাইল হামলা হয়েছে। খারকিভ দখলেও হামলা বৃদ্ধি করছে রুশ বাহিনী।
এদিকে জার্মানির বাভারিয়া অঞ্চলে একটি শতাব্দী প্রাচীন পাহাড়ি দুর্গের ভিতরে অনুষ্ঠিত গ্রুপ অফ ৭ শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা রাশিয়ার অর্থনীতিকে বিচ্ছিন্ন করার নতুন পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রুশ স্বর্ণ আমদানি এর অন্যতম।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার সিএনএন-এর ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনীয়দের হাতে যা যা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা যা করতে পারি তা চালিয়ে যাব। উন্নয়নশীল বিশ্বে চীনের অবকাঠামোগত বিনিয়োগ মোকাবেলা করার একটি নতুন প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply