নন রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (এনএফসিডি) একাউন্টে বা অনিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ী হিসাবের সুদ হার বেধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে সোমবার (০১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এখন থেকে অনিবাসীরা এসব তাদের সঞ্চয়ী হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা জমা রাখলে বিভিন্ন মেয়াদে ৪ থেকে ৫ শতাংশ সুদ পাবে। আগে তারা কম সুদ পেতেন। সুদ হার বেধে দেয়ার ফলে ওই হিসাবে মুনাফা বেড়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে অনিবাসী বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে এক থেকে তিন বছর মেয়াদে অর্থ জমা রাখলে ৪ শতাংশ সুদ পাওয়া যাবে। তিন বছরের বেশি থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে রাখলে ৫ শতাংশ সুদ পাওয়া যাবে।
সূত্র জানায়, ওই হিসাবের সুদের হারের সর্বনিম্ন মাত্রা ধরা আছে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ১ থেকে ৩ বছর মেয়াদী হিসাবে এর সঙ্গে আরো যোগ হবে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ। ফলে ওইসব হিসাবে মোট সুদ হবে ৪ শতাংশ। ৩ বছরের বেশি থেকে ৫ বছর মেয়াদী হিসাবে অতিরিক্ত দিতে হবে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। ফলে এ হিসাবে মোট সুদ হবে ৫ শতাংশ।
সূত্র জানায়, প্রবসীদের সঞ্চয়ী সুবিধা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকগুলোতে ওই হিসাব খোলার নির্দেশ দিয়েছে। প্রবাসীরা নিজের নামে বা তাদের আত্মীয় স্বজনের নামে বৈদেশিক মুদ্রা জমা করে ওই হিসাব খুলতে পারে। এটি একালীন যেমন খোলা যায়। তেমনি কিস্তিতে অর্থ জমা দিয়েও বিভিন্ন মেয়াদে হিসাব খোলা যায়।
এ হিসাবে সুদেও হার আগে দেয়া হতো ইউরোপীয় একক মুদ্রা ইউরোর সুদের হারের সঙ্গে ২ বা আড়াই শতাংশ সুদ যোগ করে। সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ইউরোর দাম ব্যাপকভাবে কমে যায়। একই সঙ্গে এর সুদের হার হারও শূণ্যে নেমে আসে। এ কারণে প্রবাসীরা এ হিসাবে অর্থ জমা করে লোকসানে পড়ার আশংকা দেখা দেয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ১৭ জুলাই এক সার্কুলার জারি ওই হিসাবে ইউরোতে সুদ দেয়ার পরিবর্তে তা ব্যাংকগুলোর উপর ছেড়ে দেয়। কিন্তু ব্যাংকগুলো এ হিসাবে সুদের হার বাড়াচ্ছিলো না। তারা ২ থেকে ৩ শতাংশ সুদ দিচ্ছিরো। কোন কোন ব্যাংক ৪ শতাংশ দিচ্ছিরো। এতে প্রবাসীদের সঞ্চয় প্রবাহ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এতে সর্বনিম্ন সুদ বেধে দিয়েছে।
Leave a Reply