সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩০

সরকার কি ইসলামকেও তালাবদ্ধ করে দিতে চায়?

সরকার কি ইসলামকেও তালাবদ্ধ করে দিতে চায়?

সিরাজুর রহমান: কয়েক বছর আগে কোপেনহেগেনের এক পত্রিকা ইসলামের মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা:-এর কিছু কার্টুনচিত্র প্রকাশ করে। ডেনমার্কে মুসলিম অভিবাসীরা সংখ্যায় খুবই কম, মাত্র কয়েক হাজার। তারা প্রতিবাদ করেছিলেন, কিন্তু ডেনিশ সরকার তাতে কান দেয়নি। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন থেকে শুরু করে অতলান্তিক মহাসাগর পর্যন্ত বহু দেশের মুসলমানেরা প্রতিবাদ তুলেছিলেন। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে কোনো কোনো দেশে ডেনমার্ক ও তার সাথে একাত্মতা দেখানো বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের দূতাবাস ইত্যাদিতে অপমানিত ও ক্রুদ্ধ জনতা পুলিশের সাথে সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের গুলিতে বেশ কিছু মুসলমান মারা যান। হিন্দু রাষ্ট্র ভারতেও প্রায় এক ডজন মুসলমান মহানবীর মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন।

চব্বিশ বছর আগে ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি পথভ্রষ্ট লেখক সালমান রুশদিকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে ফতোয়া জারি করেন। স্যাটানিক ভার্সেস নামের উপন্যাসে রুশদি মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:  সম্পর্কে অবমাননাকর মিথ্যা কাহিনী লিখেছিলেন। গোটা মুসলিম বিশ্বে এ উপন্যাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ব্রিটেনসহ বহু দেশে মুসলমানেরা প্রতীকীভাবে সে উপন্যাসের কপিতে আগুন ধরিয়ে দেন। খোমেনি তার ফতোয়া জারি করেন তার পরে। তার পর থেকে কয়েক বছর রুশদি মূলত আত্মগোপন করেছিলেন। দিবারাত্রি তার প্রাণ রক্ষার জন্য ব্রিটিশ সরকার বিপুল অর্থ ব্যয়ে বিশেষ পুলিশ থেকে দেহরক্ষী নিযুক্ত করেছিল।

মাত্র দু’টি দৃষ্টান্তই উল্লেখ করলাম। আশা করি যথেষ্ট হবে। আমার প্রায় ৬৩ বছরের সাংবাদিক জীবনে এজাতীয় ঘটনার খবর বহুবার প্রকাশ করেছি, শুনেছি অনেক বেশি। সেসব ঘটনা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় মুসলমানদের মধ্যে মতভেদ আছে, শিয়া-সুন্নি ভিন্নমত আছে; কিন্তু আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা:-এর অমর্যাদা কোনো মুসলমানই সহ্য করতে রাজি নয়। সে মর্যাদা রক্ষার জন্য তারা প্রাণ দিতেও রাজি আছে। লক্ষণীয় এই যে, মুসলমানদের এই দৃঢ়প্রত্যয় ইসলাম সম্পর্কে পশ্চিমা বিশ্বে আগ্রহ বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। গোটা পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে ব্রিটেনসহ ইউরোপে খ্রিষ্টানদের ইসলামগ্রহণ অনেক বেড়ে গেছে। এসব দেশের ধর্ম ও সমাজনায়কেরা সে ব্যাপারে রীতিমতো উদ্বিগ্ন। তারা ভয় করছেন এ হারে খ্রিষ্টান যুবক-যুবতীদের ইসলামগ্রহণ চলতে থাকলে ইউরোপে কোনো একসময় মুসলমানেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে। সত্যিকারের শিক্ষিত মানুষ সব সময়ই পরমতসহিষ্ণু হন। কারো মানমর্যাদার ওপর আঘাত দৈহিক আঘাতের চেয়েও বেশি পীড়াদায়ক হতে পারে। তার ওপর সাম্প্রতিক প্রবণতা থেকে কোনো কোনো পশ্চিমা খ্রিষ্টান মনে করছেন, ইসলাম এবং আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি অবমাননা দেখানো এ ধর্মের প্রতি আগ্রহই বাড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং বিশেষ করে মিডিয়াকে ইসলামবিরোধী মতামত সংযত করতে হবে।

সালমান রুশদিকেও ছাড়িয়ে গেছে এরা দুর্ভাগ্যের কথা, সালমান রুশদির উপন্যাস ও ডেনিশ কার্টুনগুলোর চেয়েও বহু গুণে বেশি আল্লাহ ও রাসূলবিরোধী অশ্লীলতা ছড়ানো হয়েছে ও হচ্ছে বাংলাদেশে, যে দেশের ৯০ শতাংশ অধিবাসী মুসলমান। আরো দুর্ভাগ্য যে, সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্র্মীয় অনুভূতির ওপর যারা এমন জঘন্য আঘাত হানছে, এ দেশের সরকার তাদের প্রতি আনুকূল্য দেখাচ্ছে, তাদের সংরক্ষণ দিচ্ছে। অন্য দিকে পশ্চিমা বিশ্বের দৃষ্টান্ত না টেনেও বলা যায়, এই চরম আঘাতের ফলে বাংলাদেশের মুসলমানের ধর্মবিশ্বাস আরো গভীর হবে, মুরতাদ ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের ধ্বংস অনিবার্য করে তুলবে তারা।

বিষয়টির ওপর ব্যাপক আলোকপাত হয়েছে বিগত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবারের পরে। সেদিন রাতে রাজীব ওরফে থাবা বাবা নামে এক ব্লগার নৃশংসভাবে খুন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার জামায়াতে ইসলামী এবং সার্বিকভাবে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর মনে হয়। জামায়াতকে এই সরকারের প্রচণ্ড ভয়। পাশের দেশের সরকার শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষক। জামায়াতকে তারাও কুনজরে দেখে। তাদের ধারণা জামায়াতের প্রভাবেই বাংলাদেশের মানুষ ভারতবিদ্বেষী হয়ে পড়ছে। ২০১১ সালের জুলাই মাসে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন সে কথা।

প্রকৃত কারণটা মনমোহন সিং কিংবা শেখ হাসিনার সরকার স্বীকার করতে ভয় পায়। সে কারণ এই যে, জামায়াতের প্রভাবে নয়, ভারতের আধিপত্যবাদের কারণেই বাংলাদেশের মানুষ সে দেশকে ভয় পায়। ২০১০ সালে শেখ হাসিনা দিল্লিতে গিয়ে অজ্ঞাতসংখ্যক গোপন চুক্তি করে এসেছিলেন। সেসব চুক্তির কোনো বিবরণ সংসদেও প্রকাশ করা হয়নি; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দেখছে তাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক এলাকা ও সম্পদের ওপর ভারতের হস্তক্ষেপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ব্লগার থাবা বাবার হত্যার পরদিনই প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর ও তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাবা বাবার বাড়িতে গিয়ে প্রকাশ্য সহানুভূতির আতিশয্য দেখান। স্পষ্টতই এই হত্যার দায় জামায়াত কিংবা শিবিরের ওপর চাপিয়ে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সপক্ষে আরো কিছু যুক্তি দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন তারা। পরবর্তী ঘটনাবলি কিন্তু সরকারের অভিপ্রায়ের পক্ষে যাচ্ছে না। পুলিশ এ যাবৎ যাদের ঘিরে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে; তাতে মনে হতে পারে যে, থাবা বাবার ব্যক্তিগত চরিত্র তার হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারে।

তারপর তার কম্পিউটার থেকে তার ব্লগের যেসব বিবরণ পাওয়া গেছে, সেটাকে মুসলিম ধর্মবিশ্বাসের ওপর অ্যাটম বোমা নিক্ষেপের সাথেই তুলনা করা যেতে পারে। আমার দেশ, নয়া দিগন্ত প্রভৃতি পত্রিকা আল্লাহ, রাসূল সা: আর ইসলাম সম্পর্কে থাবা বাবার ব্লগ থেকে তার যেসব মন্তব্য উদ্ধৃত করেছে, বারবার আস্তাগ ফিরুল্লা না বলে সেগুলো পড়া যায় না। সে ব্লগ থেকে পাওয়া আসিফ মহিউদ্দীন নামের অন্য এক ব্লগারের কিছু মন্তব্যও প্রায় সমপর্যায়ে পড়ে। মনে হতে পারে, এ দু’জন ব্লগার পরিকল্পিতভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান কি ইসলামের বিরুদ্ধে?

এর পরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার ইসলামের বিরুদ্ধে এবং তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে মনে হয়। এই দু’জনসহ মোট ১৯ জন ব্লগারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্য দিকে জনপ্রিয় ব্লগ সোনার বাংলাদেশ  বন্ধ করা হয়েছে এবং সে ব্লগের সম্পাদককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার চার দিন পরেও তাকে কোনো আদালতে হাজির করা হয়নি, তার কোনো খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না। শাহবাগ মোড়ের সমাবেশে থাবা বাবাকে শহীদ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে, সেখানে তার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। বিচারপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া থাবা বাবার ব্লগের সমালোচনামূলক একখানি চিঠি পাঠিয়েছিলেন সহবিচারকদের কাছে। তার বিরুদ্ধে শাহবাগ সমাবেশে ক্রুদ্ধ হুঙ্কার উঠেছে। বলাই বাহুল্য, সরকার তাৎক্ষণিকভাবে সে হুঙ্কারে সাড়া দিয়েছে। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে বিচারপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্পর্কে তিনি এখন আলাপ-আলোচনা করছেন।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, থাবা বাবা ও আসিফ মহিউদ্দীন শাহবাগ সমাবেশের প্রধান উদ্যোক্তাদের অন্তর্ভুক্ত। তাদের ব্লগ থেকেই জানা যাচ্ছে যে, থাবা বাবা ইসলামবিরোধী এবং আসিফ মহিউদ্দিন নাস্তিক। গোড়া থেকে এই তথ্যগুলো জানা থাকলে বাংলাদেশের কতজন তরুণ-তরুণী শাহবাগে সমাবেশ করতে আসতেন সন্দেহ আছে। সেসব তথ্য এখন জানা গেছে এবং তার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বহু প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। রাজনৈতিক জীবনের গোড়ার দিকে তিনি নিজেই বলেছিলেন তার পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিতেই তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। বিশেষ করে বর্তমান দফায় গদি পেয়ে তিনি ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে উঠছেন বলে মনে হয়। প্রথমে ইসলামি সন্ত্রাস দমনের নামে বহু মুসলমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা কোথায় কী অবস্থায় আছেন কে জানে? তারপর শুরু হলো একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা। জামায়াতে ইসলামীর নয়জন ও বিএনপির দু’জন নেতাকে গ্রেফতার করা হয় প্রথম পর্বে। অথচ যেসব যুদ্ধাপরাধী আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের বিচারপ্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। এদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কন্যার শ্বশুর এবং প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নাম সাধারণ্যেই আলোচিত হয়।

দ্বিতীয় পর্বে ইসলাম ভাবাপন্নদের পাইকারি গ্রেফতার শুরু হয়। টুপি-দাড়ি পরা এবং মসজিদের জামাতে শরিক হওয়া হাজার হাজার লোক গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের মধ্যে আপাতত আরো ৬০০ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে বিচারের আয়োজন চলছে। মাদরাসা ও ধর্মীয় শিক্ষালয়গুলোর বিরুদ্ধে সরকার ও শাসক দলের নির্যাতনের অন্ত নেই। বিচারবহির্ভূতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে, অনেকের লাশ পাওয়া গেছে জলাভূমিতে। কিছু ছাত্রকে র‌্যাব গুম করেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সাভারে র‌্যাব ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দুই ছাত্রকে বহু যাত্রীর সামনে গ্রেফতার করে, আজ পর্যন্ত তাদের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ছাত্রলীগ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত চার বছর ধরে যে তাণ্ডব চালাচ্ছে তার তুলনা হিটলারের আমলেও দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের খবর প্রায়ই পত্রিকায় পাওয়া যায়। ছাত্রলীগ কর্মীরা অধ্যাপক-ভিসিকে পর্যন্ত মারধর করে। আর কিছুই বোঝেন না তিনি।

জামায়াতকে অবৈধ ঘোষণার মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে বিদেশীরাসহ অনেকেই সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। সর্বশেষ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৃটিশ পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ারসি। তিনিও বলে গেছেন, রাজনীতির মোকাবেলা রাজনীতি দিয়েই করতে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ দলটিকে নিষিদ্ধ করার সংকল্প শেখ হাসিনা ছাড়তে পারছেন না। পত্রিকায় কোনো সমালোচনা হলে সে পত্রিকা নিষিদ্ধ করার কিংবা সে সাংবাদিককে জেলে পাঠানোর ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর মনে প্রবল হয়ে ওঠে। লেখার জবাব যে লেখা দিয়েই করতে হয় সেটা তার মাথায় ঢোকে না। মারধর ও গুলি করে জামায়াত ও শিবিরের সদস্যদের হত্যার খবরও প্রায়ই পত্রিকায় দেখা যায়। এ দেশে প্রধানমন্ত্রী আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের কথা ভাবতে পারেন না। ফসল ভালো হলে তিনি ‘মা-দুর্গার’ প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। যেসব মিডিয়া মাঝে মধ্যে ইসলামের কথা বলে এবং সরকারের সমালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়ন তো লেগেই আছে।

বর্তমানেও শাহবাগে দিগন্ত টেলিভিশন, আমার দেশ, নয়া দিগন্ত, দিনকাল, সংগ্রাম ও ইনকিলাবের বিরুদ্ধে হুমকি শোনা যায়। তার পরেই খবর পাওয়া যায়, দেশের কোথাও দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার জবরদস্তি বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, হকারদের মারপিট করে ওই পত্রিকাগুলোর কপি কেড়ে নিয়ে তাতে আগুন লাগানো হচ্ছে। ইদানীং আবার ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে হুঙ্কার শুরু হয়েছে। পরিকল্পিতভাবেই দেশের কোথাও-না-কোথাও এ ব্যাংকের শাখা কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। এবং প্রায় অনিবার্যভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করেÑ তিনি কি কুলুপ এঁটে ইসলামকেও বন্ধ করে দিতে চান? শেখ হাসিনার মনে রাখা উচিত, বহু বলদর্পী অতীতে সে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ দৃষ্টান্ত ছিলেন জোসেফ স্ট্যালিন। আজ তারা কোথায়? এবং কোথায় ইসলামের মহিমা?

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024