বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০ মাইল দূরে আবাসনের ব্যবস্থা করায় কোর্স ত্যাগ করছে ব্রিটেনের ‘ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড’ বা ইউডব্লিউই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাস হচ্ছে ব্রিস্টলের দক্ষিণ গ্লুচেস্টারশায়ারে। কিন্তু সেখানে ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের আবাসন ঠিক করা হয়েছে সেখান থেকে বহু দূরে দক্ষিণ ওয়েলসের নিউপোর্টে।
নিউপোর্টে এক বেডরুমের একটি আবাসনের জন্য প্রতি বছর ৫ হাজার ২৫০ পাউন্ড খরচ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সেখান থেকে ক্লাসে আসতে তাদের প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন এই ব্যায়ের এক তৃতীয়াংশ বহন করতে রাজি হয়েছে এবং রেলস্টেশন পর্যন্ত ট্যাক্সির ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু এটাই যথেষ্ট হচ্ছে না। ফলে অনেকেই কোর্স শেষ না করেই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিচ্ছেন।
দক্ষিণ-পশ্চিমের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন অবস্থা এবারই প্রথম নয়। গত বছর ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় কিছু শিক্ষার্থীকে থাকার জন্য বাথ-এ পাঠিয়েছিল। ইউডব্লিউই এখন নতুন একটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করছে ক্যাম্পাসে।
এতে ৯০০ শিক্ষার্থী থাকতে পারবে। কিন্তু আগামি বছরের পূর্বে এটি চালু হওয়া সম্ভব নয়। যারা এর আগে ভুক্তভোগী হচ্ছেন তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ভিসি প্রফেসর স্টিভ ওয়েস্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জানিয়েছেন, যারা এই দূরত্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের সাহায্য করতে একটি লিডারশীপ টিমকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।
১৮ বছর বয়স্ক জেনিফার রেইনা জানান, তিনি ইউডব্লিউই-তে বিজনেস এন্ড ইভেন্টস বিষয়ে ভর্তি হওয়ার পর তিনি আবিষ্কার করেন তার আবাসন নির্ধারণ করা হয়েছে নিউপোর্টে।
সেখান থেকে চলে যেতে চায়। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে কোনো রুম ছাড়ার আগে সেখানে অন্য কাউকে দিয়ে যেতে হবে। আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে যতটা গোছানো ভাবতাম, আসলে এটি সেরকম নয়।
তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থীর অর্থ নেই তাদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা বেশ কঠিন। আমরা সবাই এর ভুক্তভোগী। প্রতিদিন ক্লাসে যেতে পারবো কিনা তাও আমি জানি না।
আইটিভি’র খবরে জানানো হয়েছে, মূলত ক্যাম্পাসের সকল আসন পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে এতদূরে পাঠানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের। মোট ১৩০ জনকে ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন স্থানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Leave a Reply