যুক্তরাজ্যে অভিবাসীর সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে অভিবাসীর সংখ্যা শত শত থেকে হাজার হাজারে পৌঁছেছে।
তবে চলতি বছর দেশটিতে মোট অভিবাসীর সংখ্যা অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। সংখ্যার দিক থেকে তা রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিধিমালা শিথিল করার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে আসা শুরু করেন।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর থেকে জানানো হয়, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১২ মাসে দেশটিতে মোট অভিবাসীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। গত বছর একই সময়ে দেশটির মোট অভিবাসীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৭৩ হাজার।
যত অভিবাসী দেশটিতে এসেছিলেন তা থেকে যত জন আবার দেশটি ত্যাগ করেছেন, তা বিয়োগ করে অভিবাসীদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করেছে সরকার। অভিবাসী রেকর্ডসংখ্যক হওয়ার পেছনে নানা কারণের কথা উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ ও আফগানিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা।
দেশটির পরিসংখ্যান দপ্তরের আন্তর্জাতিক মাইগ্রেশন বিভাগের পরিচালক জে লিনডোপ বলেন, চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময়ে বেশ কয়েকটি ঘটনা আন্তর্জাতিক অভিবাসন প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলেছে। যুক্তরাজ্যের এই অভিবাসীর সংখ্যাকে তিনি ‘নজিরবিহীন’ বলেও মন্তব্য করেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর দেশ ছাড়েন লাখ লাখ ইউক্রেনীয়। তাদের অনেকেই ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন। তার আগে গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় আসার পর অনেক আফগান যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন।
এছাড়া করোনাভাইরাসের বিধিমালা শিথিল করার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে আসা শুরু করেছেন। সব মিলিয়েই রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী দেখা গেছে দেশটিতে।
Leave a Reply