প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে ‘বম্ব সাইক্লোন’। তুষারঝড়ে বিধ্বস্ত গোটা উত্তর আমেরিকা। পুরু বরফের স্তরে ঢেকেছে রাস্তাঘাট, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। দ্য ওয়াল।
তুষারঝড়ে দেশ জুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬০। হাজার হাজার মানুষ দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। আমেরিকার হাওয়া অফিস ‘ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস’ (এনডব্লিউএস) জানাচ্ছে, কোথাও ৮ ফুট, কোথাও বা ১০ ফুট পুরু বরফের আস্তরণ জমে গেছে রাস্তাঘাটে।
দেশটির নানা প্রান্তে হিমাঙ্কের ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি নীচে নেমে গেছে তাপমাত্রা। পশ্চিম কানাডায় ইতিমধ্যে তাপমাত্রা পৌঁছে গেছে হিমাঙ্কের ৫৩ ডিগ্রি নীচে। ডালাসের পারদ নেমেছে হিমাঙ্কের ১৩ ডিগ্রি নীচে। বুস্টন থেকে নিউ ইয়র্ক সর্বত্র প্রায় একই ছবি।
ওকলাহোমা, আইওয়া-সহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকার প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে না বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা, তাপমাত্রা আরও নীচে নামবে। ঠান্ডায় তীব্র সমস্যায় পড়েছেন মানুষজন। ফ্রস্টবাইটের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এই সুপার সাইক্লোন বোমের মতোই আছড়ে পড়ে, তাই এই নাম। বম্ব সাইক্লোনের কারণে প্রতি বছরই এই সময়টাতে ভোগান্তি বাড়ে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে ৫০ থেকে ৮০ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া দেয়। সঙ্গে চলে তুষারপাত। রাস্তায় বরফ সরানোর কাজে ইতিমধ্যে নেমে পড়েছেন কর্মীরা। পরিবহন দফতর চেষ্টা করছে কী ভাবে যাতায়াত সচল রাখা যায়।
আবহাওয়া অফিস এনডব্লিউএস জানিয়েছে, ‘বম্ব সাইক্লোন’ – এ খারাপ হচ্ছে আবহাওয়া, আশঙ্কা আরও বড় তুষার ঝড়ের। দুর্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২ লাখ মানুষ বড়দিন কাটিয়েছেন বিদ্যুৎহীন অবস্থায়। বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত, কবে স্বাভাবিক হবে তা কেউই বলতে পারছেন না।
Leave a Reply