এবারের রমজান মাসে ১০০ কোটিরও বেশি মুসলিম রোজা রাখবেন। প্রতিবছর পবিত্র রমজান মাস প্রায় ১০ দিন করে এগিয়ে আসে।
পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকের বেশি অংশে তীব্র গরমে রোজা শুরু হয় এবং শেষ দিকে অনেকটা শীতল আবহাওয়া বিরাজ করে। সাধারণত, গ্রীষ্মকালে দিন অনেক বড় হয় এবং শীতকালের দিকে যত এগোয়, দিনের ব্যপ্তি তত কমতে থাকে।
তাহলে চলুন জেনে আসি এবারের রোজায় সবচেয়ে বড় ও ছোট দিন কোন দেশগুলোতে–
যে দেশগুলোতে সবচেয়ে কম সময় রোজা
এবারের রমজানে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতে সবচেয়ে কম সময় রোজা রাখতে হবে। চিলির মুসলিমরা গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ১১ ঘণ্টা রোজা রাখবেন।
এছাড়া মানচিত্রের দক্ষিণের দেশগুলো, যেমন– নিউ জিল্যান্ড, আর্জেন্টিনা ও দক্ষিণ আফ্রিকাতেও রোজার সময় কম। দেশগুলোতে গড়ে প্রতিদিন ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে।
যে দেশে রোজা সব চেয়ে দীর্ঘ
নরডিক দেশ আইসল্যান্ডে এবার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রোজা থাকবেন রোজাদাররা। দেশটিতে গড়ে প্রায় ১৬ ঘণ্টা ৫০ মিনিট রোজা রাখতে হবে তাদের। তিউনিসিয়ার মুসলিমরা রোজা রাখবেন প্রায় ১৫ ঘণ্টা।
এছাড়া মধ্য প্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে।
যেসব দেশে রাতই হয় না, তারা কীভাবে রোজা রাখেন?
পৃথিবীর কিছু দেশের দিন ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় হয়ে থাকে। তবে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তো রোজা রাখা সম্ভব না। তাহলে এক্ষেত্রে কী করেন তারা? ফতোয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেসব দেশে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের ব্যবধান ৩ ঘণ্টার চেয়ে কম, তারা অন্য কোনও শহরের ইফতার ও সেহরির সময় অনুসরণ করতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা মক্কা শহরের সময়সূচী অনুসরণ করে রোজা পালন করে থাকেন।
এমন দেশের একটি হলো গ্রিনল্যান্ড। এখানকার মুসলিমরা সৌদি আরবের মক্কার সময় অনুসরণ করে সেহরি ও ইফতার করেন।
ব্যতিক্রম
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবস্থা আরও অদ্ভুত হয়ে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশচারী সুলতান আল নেয়াদি রমজান মাসে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন। এমতাবস্থায় তারা ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৬ বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পান।
এ বিষয়ে আল নেয়াদি বলেন, ‘আমাকে পরিব্রাজক হিসেবে গণ্য করা হবে। রোজা রাখা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।’
বাধ্যতামূলক না হলেও মক্কার সময় অনুসরণ করে কয়েকটি রোজা রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply