ইংল্যান্ডকে ধূমপানমুক্ত রাখার লক্ষ্যে সব ধূমপায়ীর প্রতি ৫ জনের একজনকে এই কিট প্রস্তাব করা হবে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্কারণ।
সিগারেটে ধুমপান ত্যাগ করতে সহায়তা হিসেবে লন্ডনে দশ লাখ মানুষকে সিগারেটের পরিবর্তে ‘ভ্যাপ স্টার্টার কিট’ সেবনে উৎসাহিত করা হবে।
অন্তঃসত্ত্বা নারীদেরকে ধূমপান ত্যাগ করার জন্য প্রস্তাব করা হবে ৪০০ পাউন্ড পর্যন্ত। এ ছাড়া সিগারেট ত্যাগ করার জন্য দেয়া হবে পরামর্শ। সরকারের এমন উদ্যোগকে সঠিক পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে ক্যাম্পেইনাররা।
তবে তারা বলেছে, এটা যথেষ্ট নয়। ২০১৯ সালে দেশটিকে ধূমপানমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৩০ সালে গিয়েও সেই লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে।
খবরে বলা হয়েছে এ জন্য ধূমপায়ীদেরকে যে পণ্য দেয়া হবে তা হবে বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত। এই স্কিমের জন্য প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বরাদ্দ ধরা হয়েছে দু’বছরের জন্য। ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার থেকে দেয়া হবে এই বাজেট।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইংল্যান্ডে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ধূমপান করেন শতকরা ৯ ভাগ নারী। তাদেরকে আচরণগত সাপোর্ট এবং আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে বছরের শেষ নাগাদ ধূমপান বন্ধ করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
হেলথ সেক্রেটারী নিল ও’ব্রায়েন বলেছেন, জীবনভর ধূমপান করেন এমন প্রতি তিনজনের মধ্যে দু’জন পর্যন্ত মারা যাবেন শুধু ধূমপানের কারণে। সিগারেট হলো এমন একটি পণ্য, যা আপনাকে ঠিকঠাক মতো মেরে ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা ১০ লাখ পর্যন্ত ধূমপায়ীকে ধূমপান ছাড়াতে সহায়তা করবো। এ জন্য জাতীয় পর্যায়ে ‘সোয়াপ টু স্টপ’ স্কিম চালু হচ্ছে এবং এতে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন কাউন্সিল এবং অন্যদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে ১০ লাখ মানুষকে ধূমপান ছাড়াতে বিনামূল্যে ‘ভ্যাপিং স্টার্টার কিট’ বিতরণ করবো।
গত বছর এক বড় রকম রিভিউ করা হয় এ ইস্যুতে। তাতে ড. জাভেদ খান বলেন, প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। যেমন বিয়ার গার্ডেন, ক্যাফের সামনে এবং সমুদ্র সৈকতে।
Leave a Reply