শীর্ষবিন্দু নিউজ: অবশেষে দক্ষিণ সুরমাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হতে চলেছে। সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত হওয়ার পর এলাকাবাসীর দাবি ছিল পানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরও দীর্ঘ এক যুগেও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি দক্ষিণ সুরমাবাসীর। তবে দেরীতে হলেও তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দক্ষিণ সুরমার ৩টি ওয়ার্ডের পানির লাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন।
মেয়র আরিফ জানান, কুশিঘাটে কসবা-কুশিটেক সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন ২ কোটি ৮০ লক্ষ লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে। এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকেই দক্ষিণ সুরমার নাগরিকরা পানির সুবিধা পাবেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, সংরক্ষিত ৯ আসনের কাউন্সিলর এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বকস, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল জলিল নজরুলসহ সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কদমতলীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর সংলগ্ন দরিয়াহ শাহ (রহ.) মাজার রোডে প্রথম পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়। উদ্বোধন শেষে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, এরই মধ্য দিয়ে দক্ষিণ সুরমায় যুগান্তকারী উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হলো। দীঘদিনের বঞ্চিত দক্ষিণ সুরমাবাসী যাতে পরিপূর্ণ নাগরিক সেবা পান সেইজন্যে এখানে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। নাগরিক সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি দক্ষিণ সুরমাকে কিভাবে নান্দনিকরূপে সাজানো যায় সেইসব প্রকল্পও গ্রহন করা হবে।
মেয়র জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরে পানির লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হবে এবং ২০১৪ সালের জানুয়ারী মাস থেকে দক্ষিণ সুরমার বাসায় বাসায় পানি সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হবে। এই প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত পাবলিক হেলথ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হানিফ জানান, সিলেট-বরিশাল মহানগরে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ প্রকল্পের আওতায় এই কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের সিলেট অঞ্চলে ব্যয় হচ্ছে ১৩২ কোটি টাকা। যার মধ্যে দক্ষিণ সুরমার ৩টি ওয়ার্ডের এই কাজে ব্যয় হবে ১৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ সুরমায় ৩৬ কিলোমিটার পানির লাইন স্থাপন করা হবে।