ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসকে লেখা চিঠি নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী ও ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল।
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও হাস্যকর হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
সম্প্রতি দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজপরিবারের পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন মেগান।
সেই চিঠির সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেগান।
তবে সেই প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও হাস্যকর হিসেবে অভিহিত করে এ ধরনের খবর প্রকাশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মেগান।
ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলের দূরত্ব যেন কমছেই না।
গত জানুয়ারিতে হ্যারির আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্পেয়ার’ প্রকাশের পর থেকেই রাজপরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বেরিয়ে আসতে থাকে রাজপরিবারের ভেতরের নানা অজানা তথ্য।
তবে এরমধ্যেই আগামী ৬ মে রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেলের যোগ না দেয়ার খবরে আবারও সরব ব্রিটিশ গণমাধ্যম।
তবে ওই চিঠির সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় রাজার রাজ্যাভিষেকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেগান, সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশ করে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। আর এতেই চটেছেন ডাচেস অফ সাসেক্স।
গণমাধ্যমের এমন খবরকে মিথ্যা এবং হাস্যকর হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল। শুধু তাই নয়, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে ‘বিরক্তিকর তামাশা’ বন্ধের আহ্বানও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মেগানের এক মুখপাত্র জানান, ‘ডাচেস অফ সাসেক্স বর্তমানে তার জীবন উপভোগ করছেন।’ দুই বছর আগের ওই চিঠির বিষয়ে তিনি আপাতত কিছু ভাবছেন না বলেও জানান তার মুখপাত্র।
২০২১ সালে অপরা উইনফ্রেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেগান বলেছিলেন, তার প্রথম সন্তান আর্চির জন্মের সময় তার গায়ের রঙ কতটা কালো হবে তা নিয়ে রাজপরিবারের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়।
ওই সাক্ষাৎকারের পরপরই রাজপরিবারের পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে তৎকালীন প্রিন্স চার্লসকে চিঠি লেখেন মেগান।
২০২০ সালের শুরুতে হঠাৎ করেই রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা এবং পরে যুক্তরাজ্য ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করা হ্যারি-মেগান দম্পতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ব্রিটিশ মিডিয়ার তিক্ত সম্পর্ক বিরাজ করছে।
ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুতে বিভিন্ন সময় খোলাখুলি কথা বলে প্রতিনিয়ত আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছেন হ্যারি-মেগান জুটি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অদৃশ্য পক্ষপাত নিয়ে রাজা চার্লসকে চিঠি লিখে উদ্বেগ জানান ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল।
Leave a Reply