গত ২৯ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৭টায় বিশিষ্ট আইনজীবি, লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবীদ সৈয়দ জয়নাল আবেদীনের মৃত্যুতে মৌলভীবাজার পৌরসভা মিলনায়তনে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
‘সৈয়দ জয়নাল আবেদীন স্মৃতি সংসদ‘ কর্তৃক আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠণের সভাপতি সাংবাদিক ডাঃ ছাদিক আহমদ।
সংগঠণের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক জাকেরীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মিসেস জোহরা আলাউদ্দিন এমপি ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার পৌর সভার মেয়র ফজলুর রহমান ও জেলা বারের সভাপতি এডভোকেট রমা কান্ত দাস।
সভায় মরহুম সৈয়দ জয়নাল আবেদীনের জীবন ও কর্ম নিয়ে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন- সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন, এডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, সাংবাদিক সরওয়ার আহমদ, ব্যাংকার ডঃ মোহাম্মদ আবু তাহের, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোশাহিদ আহমদ, সাংবাদিক সৈয়দ রুহুল আমিন, সাংবাদিক বকশী ইকবাল আহমদ, সাংবাদিক মুনজের আহমদ চৌধুরী, অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল ইসলাম, সাংবাদিক খালেদ চৌধুরী, প্রবাসী রাজনীতিবিদ ফয়সল হোসেইন চৌধুরী, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা শামীম আহমদ, শিশু একাডেমির কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক মেরাজ আহমদ চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজসেবী মুহিবুর রহমান মুহিব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মানিক মিয়া প্রমুখ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- লণ্ডন থেকে আগত মরহুমের ছোট ভাই সাংবাদিক ও সমাজসেবককে এম আবুতাহের চৌধুরী।
সভায় বক্তারা- মরহুম সৈয়দ জয়নাল আবেদীনের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন দারুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুজ্জোহা।
সভায় বলেন যে- সৈয়দ জয়নাল আবেদিন ছিলেন সমাজের একজন নক্ষত্র। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ইতিহাসবিদ, দক্ষ আইনজীবি ও সমাজ সংস্কারক।
সিলেট বিভাগ আন্দোলন, মৌলভীবাজার জেলা বাস্তবায়ন আন্দোলন সহ প্রতিটি কর্মকাণ্ডে মরহুমের ভূমিকা অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন মৌলভীবাজারের প্রথম নোটারী পাবলিক ও একজন ইসলামী চিন্তাবীদ।
সভায় বক্তারা আরো বলেন যে- বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, জেলা জামে মসজিদ, শাহী ঈদগাহসহ বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার খেদমত করেছেন। তিনি ইতিহাস চর্চা ও গবেষণা করেছেন। অনেক বই লিখেছেন। তিনি মরে যাননি। তাঁর কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকবেন।
বক্তারা আরো বলেন যে- তিনি ছিলেন, সিলেট বিভাগের একজন আলোকিত মানুষ। শিকড় সন্ধানী লেখক, তুখোড় বক্তা, সমাজের বলিষ্ট কন্ঠস্বর ও দায়ী ইলাল্লাহ। এ নশ্বর পৃথিবীতে একজন মানুষের যে সব সৎ গুণের দরকার তা সবই তাঁর মধ্যে ছিল। তাঁর ছিল জ্ঞানের সাগর। কমিউনিটির যে কোন সমস্যার একটি সুন্দর সমাধান তিনি করে দিতে পারতেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি জোহরা তাজ উদ্দীন বলেন- জয়নাল ভাই ছিলেন একজন বেহেশতী মানুষ। তিনি নোটারী পাবলিক থাকা অবস্থায় মানুষকে সাহায্য করেছেন। রাজনীতিতে তিনি ও আমার এক আত্মীয় নিয়ে আসেন।
বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সদস্য করেন। তিনি ছিলেন একজন সফল মানুষ। মৌলভীবাজারের কোন রাস্তা বা প্রতিষ্ঠানের নাম মরহুমের নামে করার জন্য প্রস্তাব করা হয়।
সভার সভাপতি- সবাইকে অশেষ ধন্যাবাদ জানান ও একটি স্মরণিকা প্রকাশের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
Leave a Reply