শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৫

নিজের হৃদপিণ্ড দেখতে জাদুঘরে নারী

নিজের হৃদপিণ্ড দেখতে জাদুঘরে নারী

নিজের হৃদপিণ্ড দেখার বিরল সুযোগ পেয়েছেন ব্রিটেনের এক বাসিন্দা। ৩৮ বছর বয়সি জেনিফার সাটন সেই সৌভাগ্যবান।

লন্ডনের হান্টেরিয়ান জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে তার হৃদপিণ্ড। ১৬ বছর আগে এটিকে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল। এরপর তা চলে যায় এই জাদুঘরে।

অবশেষে এতদিন পর নিজের হৃৎপিণ্ড চাক্ষুষ করার বিরল সৌভাগ্য হলো জেনিফারের।

টাইমস নাউ নিউজ জানিয়েছে, আজ থেকে ১৬ বছর আগে জেনিফারের বয়স যখন ২২, তখন ‘কার্ডিয়োমায়োপ্যাথি’ নামে এক বিরল রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগে হৎপিণ্ড সারা শরীরে রক্ত চালনা করা বন্ধ করে দেয়।

এই জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে জেনিফার বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা ছাড়া এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আর কোনও উপায় নেই।

তবে প্রথমে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনে রাজি ছিলেন না জেনিফার। কারণ তার মায়েরও একই শারীরিক সমস্যা ছিল।

বিজ্ঞাপন

হৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করাতে গিয়ে মৃত্যু হয় তার। ফলে এই বিষয়ে আতঙ্কিত ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিস্থাপন ছাড়াও আর কোনও উপায় ছিল না সুস্থ হওয়ার।

বন্ধু এবং আত্মীয়স্বজনের জোরাজুরিতে প্রতিস্থাপন করাতে রাজি হন জেনিফার। তবে তিনি ভাগ্যবান ছিলেন। সফল অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন জেনিফার।

এরপর তার আগের হৃৎপিণ্ডটি রাখা হয় মিউজিয়ামে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর সে কথা জানতে পারেন জেনিফার। স্বচক্ষে নিজের হৎপিণ্ড দেখতে যান মিউজিয়ামে।

জেনিফার বলেন, হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের পর আমার নিজেকে একেবারে অচেনা লাগছিল। অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছিল। কিন্তু নিজের আগের হৎপিণ্ড দেখে বিস্মিত হয়েছি।

কখনও ভাবিনি যে এমন কোনও অভিজ্ঞতা আমার হবে। অঙ্গ দানকে উৎসাহিত করতে প্রচারণায় যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জেনিফার।

তিনি বলেন, আমাকে যদি কেউ হৃদপিণ্ড দান না করতেন তাহলে এই ১৬টি অসাধারণ বছর আমি পেতাম না। আমি এখন অনেক ব্যস্ত এবং সক্রিয় থাকি যাতে এই হৃদপিণ্ডটি সুস্থ থাকে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024