কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনায় বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। কানাডা সরকারের দুদফা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ তালিকার ৩৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম নেই। ফলে তালিকাভুক্ত ৩৫ দেশের নাগরিকদের কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে কঠোর নিয়মাবলীর মধ্য প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
সেক্ষেত্রে তালিকাভুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে অপেক্ষাকৃত কম ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হবে। কানাডায় অবস্থিত বাংলাদেশি ও কানাডা ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির সুবিধার্থে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করা ৩৫টি ‘ডেজিগনেটেড কান্ট্রিজ অব অরিজিন’ এর দুটি তালিকা তৈরি করেছে কানাডা সরকার। মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো, রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই এবং মানবাধিকার কর্মীরা স্বাধীনভাবে সক্রিয় রয়েছে এমন দেশগুলোকেই ‘ডেজিগনেটেড কান্ট্রিজ অব অরিজিন’ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই দেশগুলো সাধারণত ভিনদেশের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী তৈরি করে না। গত ডিসেম্বর মাসে কানাডা সরকার ‘ডেজিগনেটেড কান্ট্রিজ অব অরিজিন’ এর অন্তর্ভুক্ত ২৭টি দেশের তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকার প্রায় সবকটি দেশই ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের। শুক্রবার প্রকাশ করে দ্বিতীয় তালিকা। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় আট দেশের নাম। তবে, দুই তালিকায় ৩৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম নেই। সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘ডেজিগনেটেড কান্ট্রিজ অব অরিজিন’ তালিকাভুক্ত না হওয়ায় বাংলাদেশের কোনো নাগরিক কানাডায় এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে ২ মাসের মধ্যেই তার আবেদনের শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে সরকার। আর এক্ষেত্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত না হলে বঞ্চিতরা ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করারও সুযোগ পাবেন এবং তাৎক্ষণিক ডিপোর্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই বা থাকবেও না। অন্যদিকে ‘ডেজিগনেটেড কান্ট্রিজ অব অরিজিন’ভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত না হলে তার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন না।
তবে তারা সুপ্রিমকোর্টে এই সিদ্ধান্তের পর্যালোচনার আবেদন করতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে সরকার চাইলে আবেদন পর্যালোচনা চলাকালীন সময়েও যে কাউকে দেশ থেকে ডিপোর্ট করে দিতে পারবে।
Leave a Reply