বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৩৭

সিলেটে নির্বাচনকালীন হামলা ও অস্ত্রবাজির ঘটনায় আফতাবের পর সাঈদও কারাগারে

সিলেটে নির্বাচনকালীন হামলা ও অস্ত্রবাজির ঘটনায় আফতাবের পর সাঈদও কারাগারে

শীর্ষবিন্দু নিউজ, সিলেট / ১৭৯
প্রকাশ কাল: বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩

গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেশজুড়ে আলোচিত ছিল অস্ত্রবাজির ঘটনা। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও নগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান নির্বাচনের আগে গত ৬ই জুন অপর কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আব্দুল্লাহ’র বাসার সামনে সশস্ত্র মহড়া দেন।

আর ওই মহড়ার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে হস্তক্ষেপ করে প্রশাসন। আফতাবের কাউন্সিলর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। পরে আপিলেও টেকেনি। শেষে ২১শে জুন নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে জয়লাভ করেন সাঈদ মো. আব্দুল্লাহ। এখন দুই কাউন্সিলর এক ওয়ার্ডে।

আফতাব এখনো ক্ষমতা ছাড়েননি আর শপথ নিলেও সাঈদ আব্দুল্লাহ কাউন্সিলরের দায়িত্ব পাননি। আগামী নভেম্বরে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।  আফতাব সমর্থকদের হামলা এবং এ ঘটনার জের ধরে অস্ত্রবাজির ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায়।

মামলার পর আফতাব ও সাঈদ উচ্চ আদালত থেকে এক মাসের জামিন নিয়েছিলেন। দু’জনের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এই সপ্তাহে। এ কারণে গত রোববার সিলেটের আদালতে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন আফতাব হোসেন খান।

আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। আর গত সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন নির্বাচিত কাউন্সিলর সাঈদ মো. আব্দুল্লাহ। আদালত তার প্রার্থনা মঞ্জুর না করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এখন কারাগারে বন্দি দু’কাউন্সিলর।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে গত ৫ই জুন রাতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোষাধ্যক্ষ শাহনুরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনায় কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় দ্রুত বিচার আইনে সাঈদ আব্দুল্লাহসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

পরে সাঈদ সহ অন্যরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার ডাইরেকশনে ছিলেন। আদেশ  মোতাবেক তারা সিলেট মহানগর দায়রা জজের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে  প্রেরণ করেছেন।

সাঈদ আবদুল্লাহ ছাড়াও একই মামলায় যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- ছবের মিয়া, আকলিছ মিয়া, এমাদ উদ্দিন সুয়েব, আমিন মিয়া, আল-আমিন, কাজী মিজান, মো.  মোবারক হোসেইন, জীবন, ফরিদ মিয়া ও রাজন আহমদ।

এরা সবাই ৭নং ওয়ার্ডের বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এর পূর্বে ১১ই জুন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগে বিমান বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

এদিকে- গত ৬ই জুন সাঈদ মো. আবদুল্লাহ’র বাসার সামনে ৭-৮টি মোটরসাইকেলসহ  বেশ কয়েকজন যুবক মহড়া দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে এক যুবক ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহ’র বাসার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে ভীতি প্রদর্শন করে।

উল্লেখ্য, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে মহড়ায় অংশ  নেয়া যুবকদের সঙ্গে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানও ছিলেন। এ ঘটনায় নগরীর বিমানবন্দর থানায় আফতাব  হোসেন খানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন সাঈদ আবদুল্লাহ। সে সময় অস্ত্রসহ মহড়ার ঘটনায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আফতাবের প্রার্থিতাও বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2023