বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৫

প্রতিদিন ৪ হাজার কদমে মৃত্যুর ঝুঁকি কমার সম্ভাবনা

প্রতিদিন ৪ হাজার কদমে মৃত্যুর ঝুঁকি কমার সম্ভাবনা

সবসময় সুস্থ থাকার জন্য ফিটনেস ধরে রাখার বিকল্প নেই। আর ফিটনেসের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য এবং কার্যকরী পন্থা হলো নিয়মিত হাঁটা। এমনকি হাঁটার অভ্যাস থাকলে কমতে পারে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকিও এমনটাই দাবি গবেষকদের।

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। কথাটির প্রচলন বহু প্রাচীন হলেও নিরেট সত্য। একটু সুস্থতার জন্য কত কাঠখড় পোড়ানো লাগে তা কেবল অসুস্থ হলেই আমাদের উপলব্ধি হয়। প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটা সাধারণ ফিটনেস লক্ষ্য হয়ে উঠেছে বর্তমানে।

তবে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে প্রতিদিন সুস্থ থাকার জন্য ৪ হাজার কদম হাঁটাই যথেষ্ট।ইউরোপীয় জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখানো হয়েছে, দিনে ২ হাজার ৩৩৭ কদম হাঁটলে কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমে আসে এবং দিনে কমপক্ষে ৩ হাজার ৯৬৭ কদম হাঁটলে যে কোনো কারণে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমতে শুরু করে।

বিশ্বব্যাপী পরিচালিত ১৭টি বিভিন্ন গবেষণায় অংশ নিয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ৮৮৯ জন। তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে হাঁটার সঙ্গে স্বাস্থ্য ভাল থাকার সম্পর্ক রয়েছে। বেশি হাঁটলে স্বাস্থ্য বেশি ভাল থাকে এমনটাই গবেষণায় উঠে এসেছে। এমনকি প্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ কদম হাঁটার কারণে কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়।

পোল্যান্ডের মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব লডজের গবেষকরা এবং ম্যাকিয়েজ বানাচের নেতৃত্বে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ প্রতিরোধের জন্য সিকারোন সেন্টারের গবেষকরা দেখেছেন, মানুষ প্রতিদিন ২০ হাজার কদম হাটলেও স্বাস্থ্য সুবিধা বৃদ্ধি পায়। তবে এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট সীমা তারা দিতে পারেনি যে সর্বোচ্চ ঠিক কত কদম হাঁটা উচিত।

অধ্যাপক বানাচ বলেন, আমাদের গবেষণা এটাই প্রমাণ করে যে আপনি যত বেশি হাঁটবেন, তত ভালো থাকবেন। আমরা আরও দেখতে পেয়েছি, এটি যেকোনো বয়সের পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এমনকি আপনি শীত প্রধান কিংবা গ্রীষ্ম প্রধান যে অঞ্চলেই বাস করেন না কেনো একইভাবে তা প্রযোজ্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা এটাও দেখতে পেয়েছি কেউ যদি অকাল মৃত্যু ঝুঁকি এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে চায় তাহলে তাকে দিনে ৪ হাজার কদমের মতো হাঁটতে হবে।

গবেষণা বলেছে, হাঁটাচলাহীন বদ্ধ জীবন যাপনের কারণে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি আয়ু কমে যেতে পারে। সমীক্ষা অনুসারে, বিশ্বের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশের বেশি মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক ব্যায়াম করে না।

এর মধ্যে পুরুষদের তুলনায় নারীরা কম এবং ধনী দেশগুলোর ব্যক্তিরা উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় কম শারীরিক ব্যায়াম করে থাকেন। শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় ৩২ লাখ মানুষ মারা যায়।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024