তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন, যুক্তরাজ্যের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের পঞ্চম কৌশলগত সংলাপ শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হলে এটি নিয়ে কাজ করার সুযোগ হবে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। জনগণ যাতে অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেটা চায় যুক্তরাজ্য।
মানবাধিকারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের কথা জানানো হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে ত্রুটি থাকলে তা উৎরাতে সাহায্য করবে যুক্তরাজ্য।
তিনি বলেন, অনিয়মিত বা অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শিগগিরই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপি চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সংলাপে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আজকের বৈঠকে আমরা দু’একটা মেকানিজমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এসওপি শিগগিরই সাইন করব, যেন যুক্তরাজ্যে যারা ভিসার বাইরে থাকছে বা অবৈধ হয়ে আছে তাদের নিয়ে আসতে পারি। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মাসুদ বিন মোমেন জানান, মাইগ্রেশান অ্যান্ড মবিলিটি নিয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করতে তারা (যুক্তরাজ্য) সম্মত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কিছু শিক্ষার্থী এবং কর্মী সেখানে যাচ্ছে সেটাকে আরও যেন বাড়ানো যায়; সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
সংলাপে অংশ নেওয়া যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের এ ধরণের এসওপি আছে, যার সদস্য ব্রিটেনও আছে। কিন্তু ব্রেক্সিট হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আর আমাদের এসওপি হয়নি। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা তাদের সঙ্গে এসওপি করছি। এসওপি চুক্তি হলে প্রতি মাসে তিন থেকে চারজন অবৈধ বাংলাদেশি দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান হাইকমিশনার মুনা।
সংলাপে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ বার্টন।
Leave a Reply