ভারতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কঠোর প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বিরোধীরা একের পর এক প্রশ্ন আনেন তার সামনে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদের বিতর্কের বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘সবাইকে বলব, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই বিতর্ক সংক্রান্ত রিপোর্টে চোখ বোলাতে।
একজন প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পার্লামেন্টে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। বিতর্কে কে হারল আর কে জিতল সেটা বড় কথা নয়। বিরোধীদের শানিত প্রশ্নের তৎক্ষণাৎ জবাব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, যা ভারতে এখন কল্পনাই করা যায় না। যদিও জওহরলাল নেহরুর সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মতোই বিতর্ক হত ভারতের পার্লামেন্টে।
লেবার পার্টির এমপি ব্যারি শিরম্যান ব্যঙ্গাত্মক সুরে প্রশ্ন করেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখে আমরা অনেকেই বেশ আপ্লুত হয়েছিলাম।
জানতে চাই, মোদির সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন একান্ত বৈঠক করেন তখন তিনি কি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার নিন্দা করছে না ভারত? দ্বিতীয়ত, জানতে চাই, তিনি কি মোদিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ভারতে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের উপর নিপীড়ন, মসজিদ ও গির্জা জ্বালিয়ে দেওয়া এবং মানুষ হত্যা বন্ধে তিনি কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?’
ব্যারি শিরম্যানের প্রশ্নটিই ছিল সবচেয়ে অস্বস্তির। সুনাক প্রশ্ন শোনা মাত্র উঠে দাঁড়ালেও স্পষ্ট জবাব দেননি। তিনি বলেন, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষার বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে।
সুনাককে এক বিরোধী পার্লামেন্ট সদস্য প্রশ্ন করেন, ২০১৫ সালে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল ভারতকে উন্নয়ন সহায়তা করবে না ব্রিটেন। সেই নীতি কি সরকার মানছে? ঋষি জবাব দেন, অবশ্যই মানা হচ্ছে। ভারতে ব্রিটিশ বিনিয়োগ অব্যাহত আছে। কিন্তু সরকারি তহবিল থেকে উন্নয়ন অনুদান দেওয়া হয় না।
Leave a Reply