কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিশেষ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় জি২০ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরও দেশে ফেরার জন্য তাকে দিল্লিতে অতিরিক্ত ৩৬ ঘন্ট অবস্থান করতে হয়েছে।
এ সময় ভারত সরকার এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানের একটি বিমানে দেশে পৌঁছে দিতে প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রতিনিধি দল নিজেদের বিমানের জন্য অপেক্ষা করাটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে বিমানটি জাস্টিন ট্রুডোকে অফার করা হয়েছে সে বিমানটি ভারতের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের জন্য ব্যবহার করা হয়। সরকারি অফারের ছয় ঘন্টা পর ট্রুডোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা নিজেদের বিমানের জন্য অপেক্ষা করবেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার ওই বিশেষ প্লেনে করে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন। এরপর রোববার রাতে তিনি আবার ওই প্লেনে করে যখন ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখনই সমস্যাটি ধরা পড়ে।
কানাডার জাতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, বিমানের একটি যন্ত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যেটি পুরোপুরি পরিবর্তন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
তখনই সৌজন্যের খাতিরে এগিয়ে আসে ভারত। বিমানে ত্রুটি ধরা পড়ার পরই একটি বিকল্প বিমান কানাডা থেকে উড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। বিমানটি সোমবার নয়াদিল্লিতে আসার কথা ছিল। কিন্তু ভারতে আসার সময় ওই বিমানটিকে অপ্রত্যাশিতভাবে সোমবার রাতে দিল্লির বদলে লন্ডনে অবতরণ করানো হয়।
সকল সমস্যার সমাধান শেষে মঙ্গলবার কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী ভারত ছাড়েন। তার দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যে ক’ঘন্টা ট্রুডো ভারতে আটকা ছিলেন সে সময় হোটেল রুমে বসেই নিজের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
Leave a Reply