কার্বন নির্গমন কমানোর নীতির পেছনে অর্থ ব্যয় করে ব্রিটিশ নাগরিকদের দেউলিয়া করা উচিত নয়। বুধবার এ কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের হোম সেক্রেটারী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সরকারের ‘নেট জিরো’ বা কার্বন নির্গমন শূন্যের প্রতিশ্রুতিকে নরম করতে প্রস্তুত বলে মনে হয়েছে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নেট জিরো’ বা কার্বন নির্গমন শূন্যের কোটায় আনার লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের আরও বাস্তবমুখী হতে হবে৷
ব্র্যাভারম্যান বলেন, আমাদের বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা করতে হবে, যা ভারসাম্যপূর্ণ ও লক্ষ্যও পূরণ করে এবং আমরা এই পৃথিবী বাঁচাতে গিয়ে ব্রিটিশ জনগণকে দেউলিয়া করতে পারবো না৷
পৃথিবীর বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যই প্রথম, যারা ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ অর্জনের আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে৷ তারা গেল কয়েক বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়িয়েছে৷
তবে সুনাক সরকারের আমলে সম্প্রতি কার্বন নির্গমন কমানোর বিভিন্ন উদ্যোগে কিছুটা ভাটা পড়েছে৷ জীবনমানের খরচ বাড়ায় পরিবহণ থেকে শুরু করে বাড়ির হিটিং থেকে কার্বন নির্গমন কমানোর উদ্যোগগুলোর যে বিনিয়োগ সেখানে স্থবিরতা এসেছে৷
আগামী বছর নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনাক কতগুলো ‘গ্রিন পলিসি’তে খরচ কমাচ্ছেন৷ লক্ষ্য সুইং বা দোদুল্যমান ভোটারদের আকর্ষণ করা৷ কয়েকদিন আগেও যেখানে যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নিজেদের বিশ্বের নেতা বলে দাবি করত, এই নীতি তাদের সেখান থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে৷
সুনাক যেসব বিষয়ে নীতির পরিবর্তন আনতে পারেন তার একটি হলো পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধ করার সময় ২০৩০ থেকে ২০৩৫ করা৷ এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও লক্ষ্য ২০৩৫ সাল৷
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আগামী সপ্তাহে সংসদে বক্তব্য রাখবেন৷ সেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ অর্জনের যে লক্ষ্য তা পেছানোর ঘোষণা দিতে পারেন৷ তারই প্রেক্ষাপট তৈরি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রেভারম্যান৷
Leave a Reply