আইএস বধুখ্যাত শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার তার আইনজীবী লন্ডনের কোর্ট অব আপিলে দাবি করেন যে, শামীমার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তটি ছিল বেআইনি।
এ সময় তিনি আবারও দাবি করেন যে, শামীমা বেগম মানবপাচারের শিকার হয়েছিলেন। এ বছরের প্রথম দিকে ব্রিটেনের ‘স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিল কমিশন’-এর এক মামলায়ও হেরে যান তিনি।
তবে হাল ছাড়তে নারাজ ২৪ বছরের শামীমা। এবার তিনি কোর্ট অব আপিলে তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবারও লড়াই শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার তার আইনজীবী সামান্থা নাইট কেসি আদালতকে বলেন, শামীমা বেগম যে মানব পাচারের শিকার হয়েছেন, তা বিবেচনায় নিতেই ব্যর্থ হয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
গত ফেব্রুয়ারিতে যে মামলায় শামীমা হেরেছেন সেই রায়েও মেট্রোপলিটন পুলিশ, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এবং শামীমার স্কুলের দায়িত্বে অবহেলার কথা উল্লেখ রয়েছে।
নাইট কেসি বলেন, হয়ত এই ব্যর্থতার কারণেই অপহরণের শিকার হয়েছিলেন শামীমা বেগম।
আগামী তিন দিন ধরে এই শুনানি চলার কথা রয়েছে। এরপর রায় ঘোষণার জন্য তারিখ নির্ধারণ করবে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জিহাদি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়া পালিয়ে গিয়েছিলেন শামীমা। সেসময় তার বয়স ছিল ১৫। যদিও ইসলামিক স্টেটের পতনের পর তিনি আবার ব্রিটেনে ফেরার চেষ্টা করেন।
কিন্তু সে সময় এতে বাঁধা দেয় ব্রিটিশ সরকার। ২০১৯ সালে বাতিল করে দেয়া হয় শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব। এরপর থেকেই তিনি তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
Leave a Reply