আজ শুক্রবার। পবিত্র জুমাবার। আজকের বিষয় ‘সূরা আল-ইনশিরাহ’। শীর্ষবিন্দু পাঠকদের জন্য এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ‘ইসলাম বিভাগ প্রধান’ ইমাম মাওলানা নুরুর রহমান।
পরিচয়
সূরা আল-ইনশিরাহ (Surah Al-Inshirah) (আরবিঃ سورة الشرح) পবিত্র কুরআন শরীফের ৯৪ তম সূরা।
সূরাটির আয়াত সংখ্যা ৮। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়। সূরাটিতে মহান আল্লাহ্ পাক আমাদের বুঝাতে চেয়েছেন, জীবনে দুঃখ কষ্ট আসলে দৈর্য্য ধারণ করতে এবং কষ্টের সাথেই স্বস্তি রয়েছে।
সূরার প্রথম আয়াত নাশরাহ শব্দের ক্রিয়ামূল বিবেচনায় এ সূরার নাম রাখা হয়েছে আল-ইনশিরাহ।
শানে নুযুল
মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) নবুয়ত লাভের পূর্বেও মক্কা নগরীর অত্যন্ত সম্মানিত মানুষ ছিলেন। সারা আরবের লোক তাঁকে ভালোবাসত,শ্রদ্ধা করত,সম্মান দেখাত। তাকে আল-আমিন বলে ডাকত।নির্দ্ধিধায় তাঁর নিকট মূল্যবান ধন-সম্পদ গচ্ছিত রাখত।
সর্বোপরি মহানবি (স.) ছিলেন সকালের প্রিয় ও শ্রদ্ধার পাত্র। কিন্তু নবুয়ত লাভের পর রাসুলুল্লাহ (স.) ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকলে মক্কাবাসীরা তার বিরোধিতা শুরু করে। তারা তাঁকে নানাভাবে ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও উপহাস করতে থাকে। তাঁকে কবি, গণক, যাদুকর, পাগল ইত্যাদি বলে কষ্ট দিতে থাকে।
মহানবি (স.) ও নওমুসলিম সাহাবিগণের উপর নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন চালাতে থাকে। এমনকি নামাযরত অবস্থায় মহানবি (স.)- এর উপর উটের নাড়িভুঁড়ি চাপিয়ে দিত, তাঁর চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখত, তাঁর কথা না শোনার জন্য কানে আঙ্গুল দিত।
এ রকম নানাভাবে কাফিররা মহানবি (স.)- কে কষ্ট দিচ্ছিল।কাফিরদের এরূপ ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও অন্যায় অত্যাচারে রাসুলুল্লাহ (স.) উদ্বিগ্ন ও হতাশ হয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহ তায়ালা এ সূরা নাজিল করে মহানবি (স.)-কে সান্ত্বনা প্রদান করেন।
Leave a Reply