বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৩

ব্রিটেনে অবৈধ অভিবাসীদের মৃত্যুর খবর পান না দেশের স্বজন

ব্রিটেনে অবৈধ অভিবাসীদের মৃত্যুর খবর পান না দেশের স্বজন

ব্রিটেনে আগের চাইতে অনেকটা বেড়েছে অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ। এসব অভিবাসীর বেশিরভাগ অবৈধভাবে দেশটিতে এসে থেকে যান। পরে তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চান না।

এই অভিবাসীদের হোম অফিস কর্তৃক বিভিন্ন অস্থায়ী আবাসনে রাখা হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে একটি মর্মান্তিক তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, অস্থায়ী আবাসনে কোনো অভিবাসী মারা গেলে সেই অভিবাসীর পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয় না। এমনকি মৃত্যুর মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বিষয়গুলো জনসম্মুখেও প্রকাশ করা হয় না।

বিষয়টি স্বীকারও করেছেন দেশটির হোম অফিসের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা মানসিক ট্রমায় ভুগতে পারে তাই জানানো হয় না। কিন্হদদডঋদ তু অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারানোর পর তথ্য না পেয়ে মানসিকভাবে আরও বেশি ভেঙে পড়ছে।

এই তথ্যগুলো এমন এক সময় প্রকাশ পেল যখন ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে অ্যাসাইলামে থাকা ১৭৬ জন মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা দ্বিগুণ। এই সময়ে কমপক্ষে ২৩ জন মানুষ সুইসাইড করেছেন।

এ বিষয়ে এনজিও সংস্থাগুলো সম্প্রতি সতর্ক করে জানিয়েছে, হোম অফিসের বিভিন্ন পলিসির কারণে অভিবাসীদের মধ্যে সুইসাইড করার প্রবণতা বাড়ছে।

এর একটি কারণ হচ্ছে-  অল্প জায়গায় অধিক হারে অভিবাসী রাখা। যেমন এসেক্সের ওয়েদারস ফিল্ড এবং পোর্টল্যান্ড ডরসেটের বিবি স্টকহোম বার্জে অল্প জায়গার মধ্যে অসংখ্য অভিবাসীকে রাখা হয়েছে।

ইউরোপে শরনার্থীদের নিয়ে কাজ করা নিউজ ব্লগ সিভিল ফ্লিট ফ্রিডম অফ ইনফরমেশনের ভিত্তিতে অভিবাসীদের মৃত্যুর এই বিষয়টি হোম অফিসের কাছ থেকে পেয়েছে।

সিভিল ফিট বিষয়টি নিয়ে আইসিও-র কাছে আবেদন করে। এতে আইসিও রায় দেয় যে, হোম অফিসকে অবশ্যই ৪ এপ্রিলের মধ্যে অভিবাসীদের মৃত্যু জনিত ডিটেইল তথ্য প্রকাশ করতে হবে।

ডিটেইল প্রকাশ না করলে আদালত অবমাননা করা হবে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে হোম অফিসের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

চ্যারিটি সংস্থা ইনকুয়েস্টের পরিচালক ডেবোরা কোলস বলেন, যুক্তরাজ্যের অন্য যে কোনো পাবলিক সংস্থার চাইতে হোম অফিস সবচেয়ে বেশি তথ্য গোপন করে।

তারা তাদের কেয়ার সিস্টেমে অবহেলা করার পাশাপাশি মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে পর্যন্ত যথাযথ তথ্য দেয় না। এটা আইনি এবং নৈতিক দায়িত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

এদিকে হোম অফিস আরও জানিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে বিভিন্ন এসাইলাম সেন্টারে থাকা পাঁচজন মারা গেছে। যার মধ্যে একজন আত্মহত্যা করেছে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024