শীর্ষবিন্দু নিউজ: কয়েকটি সূত্রমতে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর শনিবার মধ্যরাতের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও ইন্টারন্যাশনাল ডেভলাপম্যান্ট উপদেষ্টা আইটি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে রাজনৈতিক সৌজন্য সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির সংকট নিরসনে সংলাপ করেছেন। আর খুবই গোপণীয়ভাবে এর মধ্যস্থতায় রয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের একজন সাবেক হাই প্রোফাইল ডিপ্লোম্যাটিক অফিসার। এর বাইরে আর কেউ অবগত নন বলে বিভিন্ন সূত্র মতে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়।
হাই প্রোফাইলের একটি ডিপ্লোমেটিক সূত্র মতে জানা যায়, ১৬ নভেম্বর ২০১৩ শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয় লন্ডনে এসে সেন্ট্রাল লন্ডনের হিল্টন লেন পার্ক ইন হোটেলে সরাসরি উঠেন। সজীব তার এই লন্ডন সফর অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে রাখেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হয়েও তিনি লন্ডনস্থ হাই কমিশনের প্রটোকল শাখাকেও কিছুই অবহিত করেননি। এমনকি বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস ও দূতাবাসের কাউকেই অবহিত করেননি।সজীব ওয়াজেদ জয় এর খালাতো বোন লেবার দলীয় কাউন্সিলর টিউলিপ সিদ্দিকীকেও সজীব তার লন্ডন সফর গোপন রাখেন। ব্রিটিশ সরকারের এই সাবেক হাই প্রোফাইলের ডিপ্লোম্যাটিক অফিসার, এক সময়ের বঙ্গবন্ধুর সরকারের অতি ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তি ছাড়া দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি সজীব ওয়াজেদের লন্ডন আগমন ও নির্গমনের কোন সংবাদ অবহিত হতে পারেননি।
সেন্ট্রাল লন্ডনের হিল্টন লেন পার্ক ইন হোটেলের রেজিস্ট্রি খাতায় ১৬ নভেম্বর ২০১৩ সজীব ওয়াজেদ জয় ইন এবং ১৭ নভেম্বর ২০১৩ রবিবার আউট হয়ে যাওয়ার তথ্য সংরক্ষিত আছে। বিশেষ কূটনৈতিক মাধ্যমে হোটেল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যদিও গত তিনদিন ধরে তারা এ তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিদেশী যে ওয়েট্রেস এই দুই নেতাকে কফি ও স্যান্ডউইচ পরিবেশন করেছেন, গত ৫ দিন ধরে তার কাছ থেকে কোণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক অভয় দেয়ার পরেও কোন তথ্য জানাতে অস্বীকার করেন ৩৭ উর্ধ্ব বিদেশিনী এই ওয়েট্রেস ।
অবশেষে নাম এবং ছবি প্রকাশ করা হবেনা। এই তথ্যের নিশ্চয়তা বিধানের পর সজীব ওয়াজেদ জয় ও তারেক রহমানের ছবি দেখে এই ওয়েট্রেস নিশ্চিত করেছেন যে, দুজনকে একান্তে কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখেছেন। লন্ডনের এমিরেটস এয়ারলাইন্স নিশ্চিত করেছে যে, সজীব ওয়াজেদ জয় হিথ্রো আগমন করেন গত শনিবার এবং রোববার ব্যক্তিগত স্টাফ সাথে নিয়ে লন্ডন ত্যাগ করেন। অন্য কাউকেই লন্ডন থেকে বিদায়ের সময় দেখা যায়নি। বাংলাদেশ দূতাবাস সজীব ওয়াজেদ জয় এর লন্ডন আগমন ও নির্গমনের কোন তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানানো হয়।
অপরদিকে তারেক রহমানও সজীব ওয়াজেদের সাথে তাদের দুই তরুণের সংলাপের সূচনার এই হাই প্রোফাইল রাজনৈতিক বৈঠকের ব্যাপারটি নিজস্ব সার্কেলের সকলের কাছে গোপন রাখা হয়। যার ফলে সারাক্ষণ তারেক রহমানের সঙ্গী এবং দেহরক্ষীরাও থাকেন অন্ধকারে। বাংলাদেশের আগামী দিনের স্বার্থে এই দুই তরুণ তাদের বৈঠকে একমত হয়েই সংলাপের সূচনা করেছেন বলে জানা গেছে।