মঙ্গলের মাটিতে এবার মানুষের তৈরি যন্ত্র নামাবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সোমবার দুপুরে মঙ্গলপৃষ্ঠে মার্স রোভার নামের এ যন্ত্রটি অবতরণ করবে।
বিশ্বের ইতিহাসে এবার সবচেয়ে বড় মহাকাশ মিশনে নেমেছে নাসা। তারা কম্পিউটার চালিত একটি যন্ত্র মঙ্গলে নামাতে যাচ্ছে। মার্স রোভার নামের এ যন্ত্রটি নিজের ভেতরে একটি ছোট আকৃতির বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার বহন করছে। যেখানে কম্পিউটারের সহায়তায় মঙ্গলের মাটি ও পাথর পরীক্ষা করা হবে।
মঙ্গল অভিযানের নতুন এ যন্ত্রের সাফল্য নিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রচণ্ড উৎকণ্ঠায় অপেক্ষার প্রহর গুণছে। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে মঙ্গল গ্রহে ১৩ হাজার মাইল গতিতে মহাকাশে ওড়ার পর মঙ্গল গ্রহের বেশ কাছাকাছি অবস্থান করছে নাসার এ মহাকাশ যান।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি সফলতার সঙ্গে মঙ্গলে নামতে পারবে কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের সংশয় রয়েছে। কারণ মার্স রোভারের নিরাপদে মঙ্গলে অবতরণের সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
মার্স রোভার ১০ ফুট লম্বা, ৯ ফুট চওড়া এবং এর ওজন ১ টন। এটি বানাতে ২ লাখ কোটি টাকারও বেশি অর্থ খরচ হয়েছে। আর সময় লেগেছে প্রায় ১২ বছর। এতে সংযুক্ত করা অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরিটি মঙ্গল থেকেই পৃথিবীতে পরীক্ষার ফল পাঠাবে।
মোটরগাড়ি আকৃতির নতুন এই যানের আরেক নাম কিউরিওসিটি। পৃথিবী থেকে অন্য গ্রহে পাঠানোর সবচেয়ে আধুনিক যান এটি। যেকোনো ধরনের মাটি ও পাথরের চুলচেরা বিশ্লেষণের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে এ যানকে।
কিউরিসিটি নামে পরিচিত এই যন্ত্রটিই মঙ্গল সম্পর্কে অজানা ও নতুন সব তথ্য দিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা।
১৯৭৬ সাল থেকেই মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সন্ধানে গবেষণা করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আর গবেষণায় সবচেয়ে বড় সাফল্য পায় ২০০৬ সালে। ওই সময় মঙ্গলের চারপাশে ঘোরার জন্য মার্স রিক-নেসেন্স অরবিটার নামের একটি যান পাঠানো হয়। আর এর থেকেই বিজ্ঞানীরা মঙ্গল সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নানা তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
Leave a Reply