মহানগর কর (সিটি ট্যাক্স) নির্ধারণের প্রেক্ষিতে মেগাসিটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় প্রবেশ ও অবস্থানের জন্য ট্যাক্স দিতে হবে। ইতিমধ্যেই সকল সিটি ট্যাক্স অফিস এ সংক্রান্ত সকল কাজ শুরু হয়েছে। যা আগামী এপ্রিল শেস হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
গতকাল সংসদে লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য মেগাসিটির মতো যানবাহন প্রবেশ এবং হোটেলে অবস্থানকারীদের নিকট ভাড়ার সঙ্গে সিটি ট্যাক্স নির্ধারণের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে কার্যক্রম চলছে। সকল সিটি করপোরেশনের জন্য ‘আদর্শ কর তফসিল-২০১৩’ প্রণয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারি দলের সদস্য সৈয়দ মহসিন আলীর প্রশ্ন ছিলো, বিদেশের মেগাসিটিতে যানবাহন নিয়ে প্রবেশ করলে সিটি ট্যাক্স দিতে হয়। বাংলাদেশে এ ব্যবস্থা চালু হবে কিনা?
এদিকে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানান, যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ অংশ এবং মহানগরীর সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও ঢাকা-ডেমরা মহাসড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে ফ্লাইওভার নির্মাণাধীন রয়েছে। যানজট ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তিতে সুপার স্ট্রাকচার রাস্তার ওপরে নির্মাণ না করে, ইয়ার্ডে তৈরি করা হয়। ইতিমধ্যে শতকরা ৭৪ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৬শে মার্চ ফ্লাইওভার উদ্বোধনের লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে।
বিএনপির রাশেদা বেগম হীরার প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের গ্রোথ সেন্টার উন্নয়নের জন্য গৃহীত গ্রোথ সেন্টারে মহিলাদের জন্য বিপণি কেন্দ্র/বাজার সেকশন নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এ পর্যন্ত সারা দেশে মহিলাদের জন্য ৭৪৪টি বিপণি কেন্দ্র বা বাজার সেকশন নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে ৪৮৬টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে।
Leave a Reply