ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি ৩৫০টির মধ্যে ৩০টি লাইসেন্স স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি থাকায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
ল্যামি বলেন, এই স্থগিতাদেশ কোনও সার্বিক নিষেধাজ্ঞা বা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নয়। বরং ইসরায়েল ও গাজার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতে ব্যবহৃত হতে পারে এমন রফতানিকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে।
জুলাই মাসে লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার পর, ইসরায়েলের প্রতি ব্রিটেনের অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সুনিশ্চিত করার জন্য একটি পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছিলেন ল্যামি।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আজ আমি পার্লামেন্টে (হাউস অব কমন্স, নিম্নকক্ষ) দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমার কাছে আসা মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট কিছু ব্রিটিশ অস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে পরিষ্কার ঝুঁকি রয়েছে এগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করতে বা সহায়তা করতে ব্যবহৃত হতে পারে।
ল্যামি আরও বলেন, ইসরায়েলের কাছে ব্রিটিশ অস্ত্র রফতানি মোট অস্ত্রের ১ শতাংশেরও কম এবং এই স্থগিতাদেশ ইসরায়েলের নিরাপত্তায় কোনও বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে না। এই স্থগিতাদেশের অধীনে সামরিক বিমান, যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ল্যামি বলেন, যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইসরায়েলের কাছে সরাসরি অস্ত্র বিক্রি করে না যুক্তরাজ্য সরকার। বরং আইন অনুযায়ী কোনও অস্ত্র বিক্রিকারী কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
Leave a Reply