শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৪

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধে আদানির আলটিমেটাম

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধে আদানির আলটিমেটাম

এবার বাংলাদেশের কাছে বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি পাওয়ার।

ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করা না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে এ বিষয়টি জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।

একটি সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল।

পিডিবি কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি ইস্যু করেছিল। কিন্তু এটি বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি অনুযায়ী ছিল না। এজন্য ডলার সংকটকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) গত শুক্রবার আদানির গোড্ডা প্ল্যান্ট এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার মধ্যে মাত্র ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।

পায়রা, রামপাল ও এসএস পাওয়ার ওয়ানসহ অন্যান্য বড় কারখানাগুলোতেও জ্বালানি সংকটের কারণে উৎপাদন কমে গেছে। ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।

পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাটের বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এসএস পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে চাহিদার অর্ধেক যোগান দিতে পারছে।

চুক্তি অনুযায়ী, অক্টোবরে আদানিকে ৯০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু আগের মাস গুলোতে যেখানে প্রতিমাসে বিল বাবদ ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে দেওয়ার চুক্তি রয়েছে সেখানে মাত্র ২০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার করে দেওয়া হয়েছে।

আদানির কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনে ১০ থেকে ১২ টাকায়। ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা কেনার দামও এর সঙ্গে সম্পর্কিত।

এ বিষয়ে আদানির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে ওই কোম্পানির এক শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এর আগে বলেছিলেন, তারা আশা করেছিলেন এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু সময় মতো বিল না দেওয়া এবং বিষয়টি পরিষ্কার না করায় তাদেরকে কঠোর অবস্থান নিতে হচ্ছে।

তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে এই কেন্দ্রের বাণিজ্যিক সফলতা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ ওই কেন্দ্রের একমাত্র ক্রেতা বাংলাদেশ এবং ৮০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের মধ্যে একটিকে অলস ফেলে রাখতে হচ্ছে।

ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি মাসে ৯ থেকে ১০ কোটি ডলারের বিল হলে বছরে ১১০ কোটি আয় করার সুযোগ রয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই চাহিদা ও অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে নজর দিয়েছে আদানি। বিহারের লখিসরাই সাব-স্টেশনের মাধ্যমে স্থানীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে বলা হয়েছে তাদের।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024