গত সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেইট, প্রিন্সেস অফ ওয়েলস ক্যান্সার রোগ চিকিৎসায় কেমোথেরাপি সম্পন্ন করেছেন।
এরপর থেকে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ব্রিটেনের রাজ পরিবারে। তবে গত বছরকে জীবনের সবচেয়ে খারাপ বছর বলেছেন প্রিন্স উইলিয়াম।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেনের রাজা চার্লসের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করে বাকিংহাম প্রাসাদ। সে সময় তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এর মাত্র ৬ সপ্তাহ পরই ঘোষণা দেওয়া হয়, ক্যান্সারের চিকিৎসার অংশ হিসেবে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন উইলিয়ামের স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন।
প্রিন্স উইলিয়াম ক্যান্সার বলেন, এটি (২০২৩ সাল) ছিল ভয়াবহ। সম্ভবত আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ বছর। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা এবং সবকিছু ঠিকঠাক রাখার কাজটি সত্যি খুব কঠিন ছিল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রিন্স অব ওয়েলস পদের ভূমিকা সম্পর্কেও কথা বলেছেন উইলিয়াম।
তিনি বলেন, এটি একটি কঠিন প্রশ্ন। আমি কি দায়দায়িত্ব বেশি পছন্দ করি? না। আমি কি স্বাধীনতা পছন্দ করি? এ ক্ষেত্রে যদি আর্থশটের মতো কিছু প্রতিষ্ঠা করতে পারি, তবে উত্তর হবে, হ্যাঁ।
আর এটিই আমার ভবিষ্যৎ। আমার অবস্থান ও ভূমিকার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি যা কিছু করছি তা ভালোর জন্যই।
উইলিয়াম আরও বলেন, আমি মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সাহায্য করছি। এমন কিছু করছি, যা সত্যিই অর্থবহ।
প্রসঙ্গত, গ্রীষ্মের পর থেকে দাড়ি রাখা শুরু করেছেন উইলিয়াম। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে তার পরিবারে।
উইলিয়াম বলেন, শার্লট প্রথমে দাড়ি রাখার বিষয়টি পছন্দ করেনি। এ জন্য আমাকে কান্নাকাটি শুনতে হয়েছে। পরে অবশ্য আবার দাড়ি বড় করেছি। আমি তাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে বিষয়টি একসময় তার কাছে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
প্রিন্স অব ওয়েলস বলেন, আমি আমার কাজকে উপভোগ করি, নিজেকে গতিশীল রাখতে পছন্দ করি। পাশাপাশি আমার পরিবারকেও সময় দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করি।
Leave a Reply