পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান, আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবারি এবং বিশ্বব্যাপী অ্যাংলিকান সমাজের আধ্যাত্মিক নেতা জাস্টিন ওয়েলবি।
চার্চের স্বেচ্ছাসেবকদের শিশু যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগে ক্রমবর্ধমান বিতর্ক ও সমালোচনার মধ্যে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
গত সপ্তাহে চার্চে শিশু যৌন নিপীড়ন নিয়ে ভয়ঙ্কর এক তদন্ত প্রতিবেদন সামনে আসে। তাতে দেখা গেছে, ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্যে এবং পরে জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকায় জন স্মিথ নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক শিশুদের ওপর ধারাবাহিক যৌন নিপীড়ন করেন।
আর বিষয়টি ধামাচাপা দেয় চার্চ অফ ইংল্যান্ড। এবং ওই স্বেচ্ছাসেবকের যৌন নিপীড়নের বিষয়টি জানা সত্ত্বেও তা পুলিশকে জানাতে ব্যর্থ হন আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি।
২০১৮ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ১৩০ ছেলে শিশু জন স্মিথের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্চবিশপ ওয়েলবি যদি এক দশক আগের ঘটনাগুলো পুলিশকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতেন তাহলে স্মিথকে বিচারের আওতায় আনা যেত।
এই তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই চার্চের সর্বোচ্চ পদাধিকারীর জবাবদিহিতার অভাব থাকায় নানা মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। সেই সঙ্গে ওয়েলবির ওপর পদত্যাগের চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
চার্চের জাতীয় পরিষদের কিছু সদস্য এক আবেদনে ওয়েলবির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বলেন, তিনি (জাস্টিন ওয়েলবি) ধর্মীয় যাজকদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।
এরপর সোমবার (১১ নভেম্বর) বিশপ অফ নিউ ক্যাসেল হেলেন-অ্যান হার্টলি বলেন, তার (জাস্টিন ওয়েলবি) অবস্থান কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ওয়েলবি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমার সরে দাঁড়ানোটা চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সর্বাত্মক স্বার্থের সপক্ষে। কারণ আমি এটাকে (চার্চ অফ ইংল্যান্ডকে) ভীষণ ভালোবাসি এবং যেখানে আমি কাজ করে সম্মানিত বোধ করেছি।
Leave a Reply