শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: নেপালের সাংবিধানিক পরিষদ নির্বাচনে বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে নেপালি কংগ্রেস। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া মাওবাদীরা চলে গেছেন ৩ নম্বরে। গত বৃহস্পতিবার ভোট গণনা শেষে এমনই চিত্র উঠে এসেছে। তবে নির্বাচন কমিশন এখনো আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেনি।
নেপালের সাংবিধানিক পরিষদের মোট আসন ৬০১। এর মধ্যে ২৪০ আসনে সরাসরি প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর আনুপাতিক (পিআর) ভোটের ভিত্তিতে ৩৩৫ আসন বণ্টন করা হয়। বাকি ২৬টি আসনে মনোনয়ন দেয় নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা। ১৯ নভেম্বর নেপালের সাংবিধানিক পরিষদের ভোট গ্রহণ করা হয়। সরাসরি প্রার্থী নির্বাচন পদ্ধতিতে মোট ভোট পড়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। ওই পদ্ধতিতে ২৪০ আসনের মধ্যে নেপালি কংগ্রেস ১০৫টি আসনে, সিপিএন-ইউএমএল ৯১টি এবং ইউসিপিএন ২৫টি আসনে জয়ী হয়েছে। বাকি ১৯ আসনে মাধেসি ও অন্য ছোট কয়েকটি দল জয়ী হয়েছে।
কমিশনের দেওয়া হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, আনুপাতিক ভোটে ৩৩৫ আসনের মধ্যে নেপালি কংগ্রেস ৯১টি আসন পেতে পারে। উদারপন্থী কমিউনিস্ট দল সিপিএন-ইউএমএল ৮৪টি এবং সাবেক মাওবাদী গেরিলাদের বিদ্রোহীদের প্রধান পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন মাওবাদী দল ৫৪টি আসন পেতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, আনুপাতিক পদ্ধতিতে মোট এক কোটি ২১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৫ জন নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ বা ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮৪৪ জন ভোট দেন। এর মধ্যে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২৫২ ভোট পেয়েছে নেপালি কংগ্রেস। পরের অবস্থানে রয়েছে সিপিএন-ইউএমএল। এই দলটি ২২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়েছে। আর প্রচণ্ডের দল পেয়েছে মাত্র ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬৬টি ভোট। তাঁর দল ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।
সংবিধান পাসের জন্য ৪০০ সদস্যের সমর্থন লাগবে। বড় দলগুলোর বাইরে রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি-নেপাল দলের কোনো প্রার্থী সরাসরি নির্বাচিত না হলেও আনুপাতিক পদ্ধতিতে ছয় লাখ ২৪ হাজার ২৮১ ভোট পাওয়ায় তারা ২৩টি আসন পেতে পারে। সে হিসাবে সার্বিকভাবে দলটি চতুর্থ স্থান পেতে পারে। ২০০৬ সালে নেপালে গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। ওই সময় মাওবাদীরা অস্ত্র ছেড়ে রাজনীতির মূলধারায় ফিরে আসেন। এর পর থেকে দেশটিতে ছয়টি সরকার গঠিত হলেও নতুন সংবিধান তৈরি করতে সব সরকার ব্যর্থ হয়।
সূত্র: পিটিআই, হিমালয়ান টাইমস।