চলমান আন্দোলনে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর এই ক্ষতির সামান্য হলেও পুষিয়ে নিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংক, বীমা, স্টক এক্সচেঞ্জ, সমুদ্র ও স্থলবন্দর, শিপিং, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সব সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলার রাখার জন্য সরকারের প্রতি দেশের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই কতৃর্ক প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত কয়েক মাস যাবৎ উপুর্যপুরি হরতালের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এক চরম বিপর্য়ের সম্মুখীন হয়েছে এবং ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। ধারাবাহিকভাবে বিগত কয়েকটি মাস যাবৎ রাজনৈতিক সহিংসতা ও ঘন ঘন হরতাল কর্মসূচি, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতির কারণে দেশের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ক্রমাগতভাবে গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে আসছে।
এ ধরনের কর্মসূচির কারণে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে এবং রফতানি বাজার পরিপূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অস্থিতিশীল পরিবেশ অব্যাহত থাকলে দেশে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ আসবে না এবং কর্মসংস্থান বিঘ্নিত হবে যার ফলশ্রুতিতে দেশের অর্থনীতি এক চাপের মুখে পড়বে। এমতাবস্থায় দেশের আমদানি-রফতানি ও সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সচল রাখার জন্য এবং বিগত হরতালের ফলে বিপর্যস্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষে সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক সহ সকল ব্যাংক, বীমা, স্টক এক্সচেঞ্জ, সমুদ্র ও স্থলবন্দর, শিপিং, কাস্টমস্ সহ সংশ্লিষ্ট সব সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলার রাখার প্রয়োজন বলে দেশের ব্যবসায়ী সমাজ মনে করেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়
Leave a Reply