আরবি নাম ‘বাইত আল বানাত’। যার অর্থ নারীর ঘর। মধ্যপ্রাচ্যের একটি জাদুঘরের নাম এটি। জাদুঘরটিতে নারীদের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম এই জাদুঘরটি স্থাপনে অসামান্য অবদান রেখেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রভাবশালী নারী ব্যক্ত্বিত্ব রাফিয়া ঘুবাশ । ২০১২ সালের শেষের দিকে দুবাইয়ের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুহাম্মাদ বিন রাশিদ আল মাকতুম এর উদ্বোধন করেন। জাদুঘরটিতে আরবের নারীদের অবদানকে তুলে ধরা হয়েছে। ঘুবাশ বলেন, আরবে বহু আগেই নারীর ক্ষমতায়ন ঘটেছে, তবে সেই কাহিনী বলার সুযোগ আমাদের হয়ে ওঠেনি। এবং এখানে ভাবার কোন কারণ নেই যে আমরা পর্দার আড়ালে থাকি বলে আমাদের ক্ষমতা নেই। মধ্যপ্রাচ্যের নারীরা কোনো মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে না। তারা অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে, ব্যবসা পরিচালনা করছে।
৫৬ বছর বয়সী ঘুবাশ আরব নেটওয়ার্ক অব ওমেন সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী ঘুবাশ বাহরাইনের অ্যারাবিয়ান গল্ফ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক প্রেসিডেন্ট। ২০১১ সালে অ্যারাবিয়ান বিজনেস সাময়িকীতে প্রভাবশালী ১০০ আরব নারীর তালিকায় ৩৬তম স্থান ছিল ঘুবাশের। দুবাইয়ে বড় হয়েছেন তিনি। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশোনা করার পর লন্ডন থেকে পিএইচি করেন তিনি।
জাদুঘরটি নির্মাণে সময় লেগেছে পাঁচ বছর। ঘুবাস এতে তার নিজ থেকে ৩০ লাখ ডলার অর্থায়ন করেছেন ও সার্বক্ষণিক শ্রম দিয়েছেন। মিউজিয়ামটির জন্য বাড়ির সন্ধানে তিনি দুবাইয়ের সরকারি ঐতিহ্যবাহী এলাকায় যান এবং হিস্টোরিক গোল্ড সোকে একটি পুরোনো বাড়ি খুঁজে নেন। তিনি জানান এই বাড়িটিকে ‘বাইত আল বানাত’ বলা হত কারণ সেখানে তিন অবিবাহিত নারী থাকত।
জাদুঘরের একটি ঘর আমিরাতের নারী কবি ওসা বিনতে খলিফার নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। আরবের নারী নামে তিনি পরিচিত ছিলেন। এছাড়াও জাদুঘরে একটি নারীদের জন্য গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। একটি গ্যালারিতে চালানো হচ্ছে অস্থায়ী শিল্প প্রদর্শনী। জাদুঘরটিতে সংগৃহিত রাখা হয়েছে আরবের সুগন্ধি ও তেল, ঐতিহ্যবাহী গহনা।
Leave a Reply