আর মাত্র দুই দিন পরই শেষ হয়ে যাচ্ছে ঘটনাবহুল ২০১৩ সাল। বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটেছে নানা ঘটনা। সেগুলোর মধ্যে কিছু ঘটনা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানে নতুন পথ অবলম্বনের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ২০১৩ সালে শিক্ষা, ন্যায়বিচার, অর্থনীতি, রাজনীতি, বিনোদন, লিঙ্গবৈষম্য, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়ে নতুনভাবে ভাবতে শিখিয়েছেন এমন কয়েকজন আলোচিত নারীকে নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিএনএন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মালালা ইউসুফজাই, নাদেজা তোলোকোনিকোভা, বিয়ন্স নোলস, হিলারি ক্লিনটন, আঙ্গেলা ম্যার্কেল, মিশেল ব্যাচলেট, জেনেট ইয়েলেন, শেরিল স্যান্ডবার্গ প্রমুখ।
মালালা ইউসুফজাই
পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনকর্মী মালালা ইউসুফজাইয়ের নাম বিশ্বব্যাপী তোলপাড় তুলেছিল ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর। সেদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে স্কুল বাসের ভেতর মালালাকে হত্যার উদ্দেশে তার মাথায় ও ঘাড়ে গুলি করে তালেবান অস্ত্রধারীরা। শুরুতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অচেতন থাকলেও পরে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। উন্নত চিকিত্সার জন্য তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়। প্রয়োজনীয় চিকিত্সা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠে কিশোরী মালালা। নারীশিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে মালালার কণ্ঠরোধের জন্যই তার ওপর হামলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে প্রমাণ করেছে কেউ তার কণ্ঠ রোধ করতে পারবে না। বিশেষ করে অস্ত্রধারী তালেবানরা তো নয়ই। আজ নারীশিক্ষা আন্দোলনের নতুন মুখপাত্র হিসেবে উচ্চারিত হচ্ছে মালালার নাম। তালেবানরা মালালার কণ্ঠরোধ করতে চাইলেও ফল হয়েছে ঠিক তার উল্টো। ২০১৩ সালে মালালা অনেক বেশি শক্তি ও সাহস সঞ্চয় করে নারীশিক্ষা বিস্তারে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে শক্তিশালী মালালার নাম পৌঁছে গেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তার উপদেশ শুনে শিক্ষা গ্রহণে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অগণিত নারী। বলা যায়, মালালার অগ্রযাত্রা সবেমাত্র শুরু হয়েছে। সাফল্যের সঙ্গে বহুদূর পথ চলবেন তিনি—এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
বিয়ন্স নোলস
একটা সময়ে সাফল্যের জন্য নারী কণ্ঠশিল্পীদের অডিও প্রযোজনা সংস্থা কিংবা ব্যবসায়ীদের মুখাপেক্ষী থাকতে হতো। কিন্তু আজ আর সেই অবস্থা নেই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক গায়িকাই তাঁদের কর্মক্ষেত্রে এতটাই সাফল্য দেখিয়েছেন যে গানের জগতে বিচরণের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে এসেছে তাঁদের হাতে। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের পথ বেছে নিতে পারছেন। সাফল্যের পাশাপাশি বিশাল অর্থ-বিত্তেরও মালিক বনে গেছেন তাঁদের কেউ কেউ। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় মার্কিন গায়িকা-গীতিকার ও অভিনেত্রী বিয়ন্স নোলসের নাম। ২০১৩ সালটা যেন সৌভাগ্যের বারতা নিয়ে এসেছে তাঁর জীবনে। এ বছর তাঁর ক্যারিয়ার ভিন্ন এক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। অ্যালবাম বিক্রি, সফল ওয়ার্ল্ড ট্যুর থেকে এরই মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক বনে গেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, বছরের শেষ দিকে এসে বিরল এক নজির স্থাপন করেছেন তিনি। ডিসেম্বর মাসে অনলাইনে ভিজুয়াল অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন ৩২ বছর বয়সী এ তারকা সংগীতশিল্পী। ওয়ার্ল্ড ট্যুরের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ দিয়ে সাজানো হয়েছে এ অ্যালবাম। নামীদামি বিভিন্ন সংস্থা অ্যালবামটি প্রকাশে বিয়ন্সকে নিরুত্সাহিত করলেও তিনি দমে যাননি। নিজে উদ্যোগ নিয়ে ঠিকই অ্যালবামটি প্রকাশের ব্যবস্থা করেছেন। প্রকাশের পরপরই দারুণ সাফল্য পেয়েছে অ্যালবামটি। বলা যায়, এর মধ্য দিয়ে অডিও শিল্পে নতুন এক ধারা প্রবর্তন করলেন বিয়ন্স নোলস।
হিলারি ক্লিনটন
যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন প্রার্থী হবেন কি না তা চূড়ান্ত না হলেও অনেক মার্কিন নাগরিকেরই ধারণা, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ালে হিলারির জয়ের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন মালালা ইউসুফজাই। সেখানে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। দর্শক-সারিতে বসে তা শুনেছেন হিলারি ক্লিনটন। সেদিন একজন নবীন নারীশিক্ষা আন্দোলনকর্মী তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘আমেরিকার মতো একটি দেশও নারী প্রেসিডেন্টের অপেক্ষায় আছে।’ যুক্তরাষ্ট্রে লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার মতো সব রকম যোগ্যতাই আছে হিলারির। অন্তত এমনটাই মনে করেন মার্কিন নাগরিকেরা। তাঁদের স্বপ্ন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন হিলারি। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবেন কি না, সেটা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার সব রকম যোগ্যতাই যে তাঁর আছে—এটা নিয়ে কারও মনেই কোনো সংশয় নেই। নারীরা যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা রাখেন তা হিলারির বক্তব্যেও স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য কোনো নারীর কি যোগ্যতা আছে? ভুলেও উন্মাদের মতো এমন প্রশ্ন করার সাহস দেখাবেন না।’
নাদেজা তোলোকোনিকোভা
২০১১ সালের আগস্টে অখ্যাত ও প্রতিবাদী গানের দল হিসেবে যাত্রা শুরুর তিন বছরেরও কম সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রীতিমতো তোলপাড় তুলেছে রাশিয়ার নারীবাদী পাংক রক ব্যান্ড দল পুসি রায়ট। নারী অধিকার, মানবাধিকার ও রাশিয়ার সরকারবিরোধী নীতির মতো বিষয়বস্তু নিয়ে গান করে এবং ভিন্ন ধারার পরিবেশনার মাধ্যমে আলোচিত হয়েছে পুসি রায়ট। রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান রয়েছে ব্যান্ডটির। এর সদস্যরা পুতিনকে একনায়ক বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মস্কোর ক্রাইস্ট দ্য সেভিয়ার গির্জায় ঢুকে বিতর্কিত ‘পাংক প্রেয়ার’ গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় পুসি রায়ট। গানটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি অর্থোডক্স চার্চের সমর্থনের বিষয়টিকে আক্রমণ করা হয়। কয়েক সপ্তাহ পর ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গির্জায় সহিংস আচরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন পুসি রায়টের তিন সদস্য মারিয়া অ্যালভোকিনা, ইক্যাটেরিনা সামুেসভিচ ও নাদেজা তোলোকোনিকোভা। তাঁদের অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, গির্জায় প্রবেশ করে বাগবিতণ্ডার পাশাপাশি গির্জার ভেতরে পুতিন-বিরোধী গান গেয়েছেন তাঁরা। গির্জায় মাস্তানির অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁদের। গত বছরের অক্টোবরে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান সামুেসভিচ। কিন্তু অ্যালভোকিনা ও তোলোকোনিকোভাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়।
পুসি রায়টের দুই সদস্যকে আটকে রাখায় রাশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়। সরকার ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় পুসি রায়টের দুই সদস্যকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে মত দেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মনোযোগ আকর্ষণ করে বিষয়টি। ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী স্টিং, মার্কিন রক ব্যান্ড দল রেড হট চিলি পেপারস, ‘পপ কুইন’ ম্যাডোনা, ‘বিটলস’ তারকা জন লেননের স্ত্রী, মানবাধিকারকর্মী ও সংগীতশিল্পী ইয়োকো ওনোসহ অনেকেই পুসি রায়টের সদস্যদের মুক্তির দাবি তোলেন। রাশিয়ার কারাগারে কঠিন দুঃসময় পার করেছেন অ্যালভোকিনা ও তোলোকোনিকোভা। বারবার প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেও মুক্তি মেলেনি তাঁদের। হত্যার হুমকি এবং কারা প্রশাসনের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অনশন শুরু করেন তোলোকোনিকোভা। এসব কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। রাশিয়ার কারা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। একপর্যায়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। নারী বন্দীসহ রাশিয়ার কারাগারে আটক দুই হাজার বন্দীকে মুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে সংগঠনটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার পার্লামেন্টে একটি আইনও পাস হয়। সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ আর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে শুরু করে ম্যাডোনা, ইয়োকো ওনোর মতো সংগীতব্যক্তিত্বদের চাপের মুখে পুসি রায়ট ব্যান্ডের গ্রেপ্তার হওয়া দুই সদস্যকে নির্ধারিত সময়ের আগেই মুক্তি দিতে বাধ্য হয় রাশিয়ার সরকার। মুক্তি পাওয়ার পরও তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবেন বলে জানান। ২৩ ডিসেম্বর কারাগার থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে তোলোকোনিকোভা নির্ভয়ে চিত্কার করে বলেন, ‘পুতিন ছাড়া রাশিয়া চাই।’
দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার মেয়েটি
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী মেডিকেলের এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ মর্মান্তিক ঘটনার পর দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক আলোচিত হয় বিষয়টি। ২০১৩ সালের প্রায় পুরোটা জুড়েই আলোচনায় ছিলেন গণধর্ষণের শিকার অসহায় সেই মেয়েটি। পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যাওয়ার আগে ভারতে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ যে অহরহ ঘটছে, সেটাই তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। তাঁর অসহায় মৃত্যু নিঃসন্দেহে ন্যক্কারজনক এই অপরাধের বিরুদ্ধে মানুষকে অনেক বেশি সচেতন করেছে।
আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে একত্র রাখার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে আলোচিত হয়েছেন জার্মান রাজনীতিবিদ ও সাবেক গবেষক আঙ্গেলা ম্যার্কেল। বিভিন্ন মহলের সমালোচনার পরও বিতর্কিত অস্টারিটি প্রোগ্রামের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে এক অর্থে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন আঙ্গেলা। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী হিসেবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে আঙ্গেলার নাম।
মিশেল ব্যাচলেট
২০০৬ সালে চার বছরের জন্য মিশেল ব্যাচলেটকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছিল চিলির সাধারণ জনগণ। এ বছর আবার তিনি চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী লিঙ্গবৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মিশেল। নারীরাও যে ভালো প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা রাখেন, তা মিশেলকে দুইবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে দেখিয়ে দিয়েছেন চিলির নাগরিকেরা।
জেনেট ইয়েলেন
যুক্তরাষ্ট্রের মেধাবী অর্থনীতিবিদ জেনেট ইয়েলেন। ইউএস ফেডারেল রিজার্ভের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে মনোনীত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বলা যায়, এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংকার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন জেনেট। দায়িত্ব গ্রহণের পর যথেষ্ট সফলতাও অর্জন করেছেন তিনি। শিগগির ইউএস ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো নারী গুরুত্বপূর্ণ এ পদ পেতে যাচ্ছেন।
শেরিল স্যান্ডবার্গ
মার্কিন নারী উদ্যোক্তা ও বিশ্বের অন্যতম সফল সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার ওয়েবসাইট ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ। এ বছর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা বই ‘লিন ইন: ওমেন, ওয়ার্ক অ্যান্ড দ্য উইল টু লিড’। বইটির মাধ্যমে নারীদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আরও বেশি শক্ত অবস্থান নিতে বলেছেন শেরিল। তাঁর মতে, এখনো নারী-পুরুষের সমতা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সব বাধা ডিঙিয়ে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা হিসেবে নিঃসন্দেহে শেরিলের নাম উল্লেখ করা যায়।
সৌদি আরবের নারী গাড়িচালকেরা
সৌদি আরবে নারীদের অনেকটা শিশুদের মতোই ভাবা হয়। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাঁদের। দেশটিতে নারীদের গাড়ি চালানোর বিষয়টিকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়রানির পরও নারী আন্দোলনকারীরা গাড়ি চালানোর অধিকার আদায়ে সোচ্চার রয়েছেন। বলা যায়, এর মধ্য দিয়ে এক ধরনের বিপ্লব শুরু করেছেন তাঁরা।