আন্দোলন অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণ, অস্বাভাবিকভাবে লোকজন হ্রাস, মিডিয়ার সাপোর্ট কমে যাওয়া, শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ীদের অসন্তোষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে এ মঞ্চ সুবিধাজনক সময়ে সরিয়ে ফেলা হবে। পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে পুনরায় মঞ্চ নির্মাণ করা হবে। প্রাথমিক অবস্থায় এর পরিসর ছোট করে আগামী সপ্তাহে পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর একাধিক নেতা।
এসময় একাধিক বাম ছাত্রনেতা আক্ষেপ করে বলেন, “মঞ্চ ছোট করা হবে কি-না ভেঙে ফেলা হবে এটা নির্ভর করছে কাদের ওপর আপনারা আমাদের চেয়ে ভালো জানেন। আমরা যারা আন্দোলন শুরু করেছিলাম আমাদের তো আর এখন গুরুত্ব নেই।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সড়কের মাঝখানে স্থাপিত বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি গণজাগরণ মঞ্চটি ছয়জন শ্রমিক খুলে ফেলছে। মঞ্চের আশেপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও রেব পাহারা দিচ্ছে।
মঞ্চের এক শ্রমিক দলনেতা জানান, আমাদের মঞ্চটি ছোট করতে বলা হয়েছে। আগে এটি ছিল ৪২ ফুট বাই ২৪ ফুট এখন করা হচ্ছে ৩২ ফুট বাই ১৮ ফুট। মঞ্চ সরিয়ে ফেলার বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, আমরা গণজাগরণ মঞ্চ সরিয়ে ফেলছি না এর পরিসর ছোট করছি।
এদিকে সোমবার সকাল পর্যন্ত শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা ব্লগার বা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের মধ্যে কাইকে দেখা যায়নি। এমনকি মঞ্চের পাশেই গণস্বাক্ষর নেয়ার বুথটিও খালি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
Leave a Reply