নিষ্ঠুর নির্মমতায় হারিয়ে যাচ্ছে একেকটি জীবন। ধ্বংস হচ্ছে একেকটি পরিবার। আবারও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে নিরাপরাধের ওপর।গতকাল হরতালে রাজধানীতে জননিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পুলিশ, মোবাইল কোর্ট এবং ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু পুলিশের মানবতাবিরোধী অপরাধ ঠেকাতে তৎপর হয়নি কেউ। রিকশা থেকে নামিয়ে এক তরুণের পায়ে সোমবার গুলি করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একটি বেসরকারি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম বাবলু (৩০) নামের এক ব্যাক্তি জীবিকার সন্ধানে গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর থানাধীন বড়বাগ মসজিদ এলাকার সড়ক দিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। এসময় হরতাল সমর্থকদের একটি মিছিল বিভিন্ন ম্লোগান দিয়ে ওই রাস্তায় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশের সাথে মিছিলকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ মিছিলকারীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে শুরু করে। পুলিশের গুলির মুখে পালিয়ে যায় মিছিলকারীরা। এসময় পুলিশ মিছিলকারীদের আটকাতে না পেরে ঐসড়কে চলমান যানবাহনগুলোর যাত্রীদের নামিয়ে মারধর করতে থাকে। এসময় চলন্ত অবস্থায় মাহবুবের রিকশার পেছন থেকে পুলিশ এসে তাকে কলার ধরে জাপটে রিকশা থেকে নামিয়ে আনে। পুলিশ এ সময় তাদের সাথে থাকা রাইফেল ঠেকিয়ে তার পায়ে পৈশাচিক উল্লাসে একের পর এক গুলিবর্ষণ করতে থাকে। গুলিতে তার পা ঝাজরা হয়ে যায়। মাহবুবের আর্তচিৎকার আকাশ বাতাস কাপিঁয়ে দেয়। রক্তে ভিজে যায় তার প্যান্ট। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। পরে গুলিবিদ্ধ মাহবুবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ সময় সেখান থেকে আব্দুল মান্নান কবির নামের অপর ১ জনকে আটক করে পুলিশ।মিরপুর থানার ডিউটি অফিসার ফারুক হোসেন গুলিবিদ্ধ হওয়া মাহবুবের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গুলিবিদ্ধ মাহবুবকে থানায় না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Leave a Reply