মিয়ানমারে ফের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সহিংস এই ঘটনায় অন্তত দশ জন নিহত হয়েছে। উগ্র বৌদ্ধরা প্রায় তিনটি মর মতো মসজিদ জ্বালিয়ে দিয়েছে। নিহতদের একজন রোহিঙ্গা মুসলমান ও একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু বলে জানা গেছে।
বুধবার বিকেলে সংগঠিত মিইকতিলা শহরে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয় এবং এই শহরে বেশ কয়েকটি মসজিদে আগুন লাগিয়েছে উগ্র বৌদ্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় পুলিশ কারফিউ জারি করে। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরেও দাঙ্গা হয়েছে বলে জানা যায়।
মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি’র একজন সদস্য জানিয়েছেন, মধ্য মিয়ানমারে দাঙ্গায় দশ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে এবং মিইকতিলা শহরে আজ নতুন করে দাঙ্গা বাধার পর সেখানে লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন তিনি। এই শহরে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার এবং অমুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
এদিকে জাতিসংঘ মিয়ানমারের সর্বসাম্প্রতিক দাঙ্গায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত বছরের জুন মাস থেকে মিয়ানমারে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার ঘটনা ঘটছে এবং এসব দাঙ্গায় শত শত বা হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়াও গৃহহারা ও শরণার্থী হয়েছে এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম।
মুসলিম রোহিঙ্গারা প্রায় এক হাজার বছর ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসলেও গত কয়েক দশক ধরে দেশটির সরকার তাদেরকে বহিরাগত বলে প্রচার করছে এবং মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য স্বীকৃত অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত করছে। আন্তর্জাতিক সমাজ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিস্ক্রিয় ভূমিকার কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে থেকে অনেকবার মিয়ানমার সরকারকে অনুরোধ জানানো হয় যে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের এটা সঠিক সমাধানে পৌছাতে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার এখনো কোন কার্যকর ভুমিকা নেয়নি।
Leave a Reply