সৌদি সরকার মানবতার স্বার্থে রোহিঙ্গা মুসলিমদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ হিসাবে অনুমতি দিতে শুরু করবে আগামী শনিবার থেকে। মিয়ানমার মুসলিম নাগরিকদের সৌদি আরবের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয় অনুমোদন করার জন্য একটি কমিটি কাজ করছে। মক্কার গবর্নর প্রিন্স খালেদ আল ফয়সলের অফিসের মাধ্যমে তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদন দেয়া হবে।
বার্মিজ মুসলিম কো-অডিনেটর জেনারেল আইয়ুব আল জামাল বলেন, আগামী শনিবার থেকে নাগরিকত্বের ব্যাপারে অনুমোদন দেয়ার কথা থাকলেও অগ্রিম পদক্ষেপ হিসেবে গত রোববার ৫৪০ জনকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদন দেয়া হয়। তিনি জানান, আনুমানিক ৩ লাখ কর্মী মুসলমান বা রোহিঙ্গা সৌদি আরবে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগেরও কম অবিবাহিত।
তবে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে দেশটিতে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ২ লাখ ৪০ হাজার। উক্ত কমিটি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে সৌদী স্কুলসমূহে অধ্যয়নরত রোহিঙ্গা বাবা মায়ের সন্তানদের তালিকা তৈরি করবে। আগামী ৪ বছর বসবাসের জন্য কোন রকম অর্থ ব্যয় ছাড়াই তাদের অনুমতি দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পর তাদেরকে স্থায়ীভাবে বাস করার অনুমতি দানের এই উদ্যোগ নেয়া হলো। সৌদি আরবে বসবাসের অনুমতি দেয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিনটি শহরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের উপর জরিপ চালানো হয়। একটি বিশেষ কমিটি গত শনিবার থেকে মক্কা শহরের কুদাইয়ের একটি কার পার্কে স্থাপিত সেন্টারে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ করার কাজ শুরু করেছে।
Leave a Reply