নিউজ ডেস্ক: ভাল চাকরি দেয়ার প্রলোভনে দুবাই নিয়ে ভারতীয় এক ফ্যাশন ডিজাইনার সুফি (ছদ্মনাম) গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ নৃশংস, পৈশাচিক কাজ করে ১৩ পুরুষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি ভাস্কর।
এতে বলা হয়, ২৭ বছর বয়সী ওই ফ্যাশন ডিজাইনারকে দুবাই নিয়ে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হয়। ২৫ দিনে তাকে গণধর্ষণ করে ওই ১৩ পুরুষ। অঞ্জলি বিনোদ কুমার ওরফে আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি ওই যুবতী ডিজাইনারকে দুবাইতে লোভনীয় চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেয়। ওই যুবতী ফ্যাশন ডিজাইনে উজ্বল ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য উদগ্রীব থাকার জন্য প্রস্তাব লুফে নেন তিনি। এরপরই তাকে নিয়ে দুবাই ছোটে আগরওয়াল। সেখানে নিয়েই তার ওপর শুরু হয় পৈশাচিকতা। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়ার পর তিনি একটি মামলা করেন।
এতে তার আইনজীবী অবিনাশ দুবে বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৬ ধারার অধীনে আগরওয়ালের বিরুদ্ধে একটি মামলা নিবন্ধিত করেছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের পদক্ষেপে আমরা সন্তুষ্ট নই। এ বিষয়ে আমি শিগগিরই আদালতে যাব। মামলায় বলা হয়েছে, গত বছর অঞ্জলি আগরওয়াল নামের এক নারীর সঙ্গে সাক্ষাত হয় ধর্ষিত যুবতীর। অঞ্জলি তাকে বলে যে, দুবাইয়ে তার একটি বুটিক হাউজ আছে। সেখানে একজন সহকারী ম্যানেজার পদে তিনি যুবতী খুঁজছেন।
এ সময় অঞ্জলি নামের ওই মহিলা তাকে মাসে ৪ লাখ রুপি বেতন দেয়ার প্রস্তাব দেয়। এমন প্রস্তাব পেয়ে ধর্ষিতা দুবাইয়ে ভাল ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য রাজি হয়ে যায়। এ জন্য তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ১০ লাখ রুপি ঋণ করেন। তা তুলে দেন অঞ্জলির হাতে, যাতে তিনি তার ভিসা ও অন্যান্য খরচ মেটাতে পারেন। গত বছর ১লা জুন দুবাই পৌঁছেন সুফি। সঙ্গে সঙ্গে তার পাসপোর্ট কেড়ে নেয় অসাধু ওই চক্র।
একটি হোটেলে নিয়ে তাকে থাকতে দেয়া হয় ১৭ তলায়। ২রা জুন অঞ্জলি ও অন্য তিন নারী সুফির রুমে রেখে দেয় বিভিন্ন রকম অ্যালকোহল। এদিন সন্ধ্যায় ৪ পুরুষ প্রবেশ করে ওই কক্ষে। তারা অ্যালকোহল পান করা শুরু করে। তাদেরকে নিজের বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেয় অঞ্জলি। রাত ১০টার দিকে অঞ্জলি এগিয়ে যায় সুফির দিকে। তাকে বলে, আমার এক বন্ধু তোমাকে পছন্দ করেছে। যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে সে তোমাকে ৩ হাজার দিরহাম দেবে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন সুফি।
ফলে তাকে নানাভাবে অপমান করা শুরু করে অঞ্জলি। সুফি বলেছেন, অঞ্জলি আমাকে বলেছে যে গত ২৫ বছর ধরে সে পতিতাবৃত্তি ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত। তার খদ্দেরের তালিকায় রয়েছে দুবাই পুলিশ, মন্ত্রী পর্যন্ত। তার বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস দেখালেই সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সুফিকে ৩রা জুন ফের ধর্ষণ করা হয। ২৭শে জুনের মধ্যে বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করে কম করে হলেও ১১ পুরুষ। ওদিকে অঞ্জলি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।