হামিদ বিশ্বাস |
দীর্ঘ ও ভয়ানক অস্থিরতা কিছুটা কমেছে কিন্তু বিতর্ক সরব এমনকি তা ক্ষেত্রবিশেষ বাড়ছে। সে কারণে দেশে বিনিয়োগ এক মাসে সামান্য বাড়লেও অন্য মাসে ভরাডুবি ঘটে। সব মিলিয়ে এখনও দেশী-বিদেশী বিনিয়োগে বড় কোন পরিবর্তনের আভাস মিলছে না। গত ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে বিনিয়োগ সূচকগুলো সামান্য বাড়লেও তা আবার নভেম্বরের তুলনায় অনেক কম।
বিনিয়োগের জন্য দরকার দীর্ঘ মেয়াদের স্বস্তি। তা এখনও দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ। বিনিয়োগ বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিসেম্বরে মোট বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। আর জানুয়ারিতে তা একটু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১১৯ কোটি টাকায়, যা নভেম্বরে ছিল ৫ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। আর সেপ্টেম্বরে ছিল ১৬ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। সে হিসাবে চার মাসের ব্যবধানে ১১ হাজার কোটি টাকা কম হয়েছে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ। এ সময় ১৬৫টি শিল্প নিবন্ধনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়েছে ২৭ হাজার ৯২৬ জনের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিসেম্বরে বিদেশী নিবন্ধিত শিল্পের সংখ্যা মাত্র ৪টিতে নেমে এসেছিল, যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। জানুয়ারিতে সামান্য বেড়ে ১৬টিতে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া গত নভেম্বর-সেপ্টেম্বরেও ছিল যথাক্রমে-১০ ও ১৫টি। বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ৮১৬ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর মাসেও ছিল ১৫ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৮ জনের। এ সময়ে দেশী নিবন্ধিত শিল্পের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪৯টিতে। বিনিয়োগ হয় ৪৩০৩ কোটি টাকা। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় ২২৩৬৮ জনের।
এ প্রসঙ্গে রপ্তানি বিষয়ক সংগঠন ইএবির প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম মুর্শেদী জানান, হতাশা পুরোপুরিভাবে কাটেনি, বিনিয়োগের জন্য হতাশা প্রধান অন্তরায়। বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষা ছিল নির্বাচন-ই সমাধান কিন্তু হয়ে যাওয়া এ নির্বাচন সমাধানের ইঙ্গিত বহন করে না বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।