তপন চক্রবর্তী: বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ ও নজরদারিতে দেশে জালনোট প্রচলন ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। জালনোট প্রস্তুত ও প্রচলনের সঙ্গে জড়িতদের কার্যক্রম প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংক, র্যাব, পুলিশ বিজিবিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর রয়েছে।
সূত্র জানায়, জালনোট সংক্রান্ত মামলাও আগের তুলনায় কমে আসছে। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন থানায় জালনোট প্রস্তুত ও প্রচলনের জন্যে চলতি সময়ে ৭ শ’ ১৭ টি মামলা অমীমাংশিত রয়েছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরী, জেলা ও কক্সবাজারে মামলার সংখ্যা বেশি। জালনোটের সঙ্গে জড়িত চক্রটি এসব এলাকায় তৎপর রয়েছে। এছাড়া নোয়াখালী, কুমিল্লা লক্ষীপুর চাঁদপুর, ফেনী ও তিন র্পাবত্য জেলায়ও এ চক্র তৎপর। জালনোট যার কাছে পাওয়া যায় তাকে গ্রেফতার করা হলেও জালনোট প্রস্তুতকারী ও পাচারকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ( চট্টগ্রাম বিভাগ) মোহাম্মদ মাসুম কামাল ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘জালনোটের কারনে দেশে মূদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে, জনগন প্রতারিত হয়।’
তিনি যোগ করে বলেন, জালনোট প্রচলন প্রতিরোধে আমাদের নীতি অত্যন্ত কঠোর। ব্যাংকারদের পাশাপাশি আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও প্রতিনিয়ত সর্তক দৃষ্টি রাখছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তিন মাস পর পর আমরা জালনোট প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে থাকি। এসব সভায় মামলাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়।