শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ভারতের লোকসভায় দীর্ঘ বিতর্ক আর অপ্রীতিকর ঘটনার পর অবশেষে অন্ধ্র প্রদেশকে ভেঙে তেলেঙ্গানা নামের নতুন রাজ্য গঠনের প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। বিলটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি ( বিজেপি) বিলের সমর্থনে ভোট দিয়েছে।
মঙ্গলবার এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়’সহ দেশটির গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে বিতর্কিত এ বিল পাসের সময় নজিরবিহীনভাবে টিভিতে এর ‘সরাসরি সম্প্রচার’ বন্ধ হয়ে যায়। পার্লামেন্টের স্পিকার মীরা কুমার এনডিটিভি’কে জানান, একটি সমস্যার কারণে বিলটি পাসের দৃশ্য টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা যায়নি। কারিগরি ত্রুটির কারণেই এমনটি হয়েছে বলে জানান তার এক কর্মী। তবে তাদের এসব কথায় জনমনে বিষয়টি নিয়ে জল্পনা কাটেনি।
ওদিকে তেলেঙ্গানা রাজ্যের পক্ষের লোকজনকে বিল পাসের পর রাজধানী নয়াদিল্লি ও হায়দ্রাবাদে উল্লাস করতে দেখা গেছে। তাদেরকে মিষ্টি বিতরণ করতেও দেখা যায়। আর তেলেঙ্গানা বিরোধীদেরকে লোকসভার এ পদক্ষেপকে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
বিল পাসের প্রক্রিয়ার টিভি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি জানতে পারেননি। তার দল পার্লামেন্ট থেকে ওয়াকআউট না করে বরং বিল পাসের জন্য ভেতরেই ছিল। এর আগে গত বৃহস্পতিবার নতুন তেলেঙ্গানা রাজ্য প্রতিষ্ঠার বিলটি সরকার পার্লামেন্টে পেশের উদ্যোগ নিলে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের এমপি এল রাজাগোপাল পেপার স্প্রে (মরিচ গুঁড়ো ছিটিয়ে) করে অধিবেশন ভণ্ডুল করার চেষ্টা চালান।
এছাড়া বিলের পক্ষে-বিপক্ষে আরো কয়েকজন এমপি লোকসভায় ভাংচুর চালায়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় জড়িত ১৬ জন এমপিকে বহিষ্কারও করা হয়। ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের বহিষ্কৃত এমপি এল রাজাগোপাল তেলেঙ্গানা বিল পাসের প্রতিবাদে পদত্যাগ করা এবং রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। অন্ধ্র প্রদেশেও তেলেঙ্গানা-বিরোধী রাজনীতিবিদরা নতুন এ রাজ্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করার সংকল্প নিয়েছেন। তাছাড়া এর প্রতিবাদে বনধ পালনেরও ডাক দিয়েছেন তারা। তৃণমূলের এমপি দ্বীনেশ ত্রিবেদী বলেন, তৃণমূল এবং বামপন্থি দলগুলো লোকসভায় বিল উত্থাপন পক্রিয়ার বিরোধিতা করেছে। আজ গণতন্ত্রকে হত্যা করা হল।