গ্যালারী থেকে: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আপত্তি জানালেও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আগামী ৯ থেকে ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) স্টেডিয়ামটি বরাদ্দ দিয়েছে। ১৬ মার্চ থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা প্রতিযোগিতাটি। বুধবার এ ব্যাপারে বাফুফেকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে এনএসসি।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঐ সময়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কাউকে বরাদ্দ না দেয়ার জন্য ক্রীড়া পরিষদকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কারণ তখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও স্বাধীনতা কাপের খেলা চলবে। কিন্তু ক্রীড়া পরিষদ ক্রিকেট বোর্ডকে সাত দিনের জন্য মাঠটি বরাদ্দ দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ক্রীড়া পরিষদের অধিকারে। তারা যে কাউকে যে কোনো সময়ে তা দিতেই পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সে সময়ে আমাদের খেলা রয়েছে।
২০১১ সালেও বাফুফের আপত্তি উপেক্ষা করে ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হয়েছিল। সে সময় স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য প্রায় ছয় মাস এই মাঠে কোনো ফুটবল ম্যাচ হয়নি। তখন সব ফুটবল ম্যাচ হয়েছিল কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মালিকানা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের হলেও চার দলীয় জোট সরকারের শুরু দিকে এই স্টেডিয়াম ফুটবলকে এবং মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম ক্রিকেটকে বরাদ্দ দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে এনএসসি’র সচিব শিবনাথ রায় বলেন, দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে আমরা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ক্রিকেটকে সাত দিনের জন্য বরাদ্দ দিয়েছি। আমর মনে হয় আমরা কোনো ভুল করিনি। বরং এতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তিই উজ্জ্বল হবে।