শীর্ষবিন্দু নিউজ: পরিবেশ দূষণ রোধকল্পের অজুহাতে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ কার্যকর করার ফলে মোড়কীকরণের জন্য ব্যবহৃত অন্য দ্রব্যাদি বিশেষ করে প্লাস্টিক ব্যাগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন-বিপিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট মো. জসীমউদ্দিন।
জসীমউদ্দিন বলেন, বিভিন্ন পণ্যের প্লাস্টিকজাত/পিপি ওভেন ব্যাগ মোড়কের চাহিদা বিবেচনা করে দেশে ইতোমধ্যে এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ হয়েছে। বর্তমানে এ সেক্টরে ৬০টি কারখানা গড়ে উঠেছে, যেখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কাজ করছে। ওভেন ব্যাগ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে এবং এ রপ্তানি বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই ধরনের এসআরও জারি করা হয়েছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
মো. জসীমউদ্দিন বলেন, আমাদের প্লাস্টিক খেলনা উন্নত মানের। চীন এবং ভারতীয় পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে আমাদের পণ্য। কিন্তু প্লাস্টিকের এসব সেক্টরের ওপর শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ এবং বিবিধ সমস্যার কারণে মূল্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পণ্য এগিয়ে যেতে পারছে না। জসীমউদ্দীন বলেন, এতে একদিকে যেমন বিভিন্ন পণ্যের গুণগত মান সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না, তেমনি প্লাস্টিক/ পিপি ওভেন ব্যাগ খাতের বিনিয়োগকারীগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানও হুমকির সম্মুখীন বলে দাবি করেন তিনি।
বিপিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট বলেন, মোড়কীকরণের জন্য চাহিদা মত ব্যাগ যোগ দেওয়ার ক্ষমতা পাট শিল্পের নেই। অন্যদিকে একটি ওভেন ব্যাগের মূল্য যেখানে ১২ টাকা সেখানে একটি পাট ব্যাগের মূল্য ৮০ টাকা। আর এ অবস্থায় সাপ্লাই– চেইন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, আমরা বাণিজ্য, শিল্প ও পাট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের মাধ্যমে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সৃষ্ট সমস্যার একটি যৌক্তিক সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে সহযোগিতা চাই।
নবম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ফেয়ার ২০১৪’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এসময় উপস্থিত অর্থমন্ত্রীর কাছে এ খাতের ভ্যাট প্রত্যাহারেরও দাবি জানান বিপিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট।