বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত শনিবার সকল পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হোন।উক্ত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে তার অংশগ্রহন করার ইচ্ছা তার রয়েছে। তবে তিনি মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করবেন না।
তিনি আরো বলেন, মন্ত্রী হিসাবে আমার যে দায়িত্ব তাতে দিনে কমপক্ষে ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। আগে আমি ১৬ ঘণ্টাই কাজ করতে পারতাম। এখন আমি ১২ ঘণ্টার বেশি পারি না। মূলত এ কারণেই আমি পরবর্তীতে মন্ত্রিত্ব থেকে বিরত থাকতে চাই। ১৯৮২-৮৩ সালে এইচ এম এরশাদের সরকারের সময়েও প্রায় ২০ মাস অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে মুহিত বলেন, সে সময় তিনি এখনকার তুলনায় বেশি শক্তিশালী ছিলেন। তখন কেবল জেনারেল এরশাদকে রাজি করালেই চলতো। আর এখন একটা গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভেতরে আমাকে ১০-১২ জনের সমর্থন পেতে হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালে স্নাতোকোত্তর শেষ করে পরের বছরই সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও উচ্চতর শিক্ষা নেন মুহিত। ১৯৭২ সালে ৩৭ বছর বয়সে তিনি সচিব পদে উন্নীত হন এবং পরিকল্পনা ও বহিঃসম্পদ বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন।সচিবের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া মুহিত সেই সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। তখন তার বয়স ৪০ এর কোঠায়। একাত্তরে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টারের দায়িত্বে থাকা মুহিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সংগ্রহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ দেশে সামরিক আইন জারির পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসাবে সরকারের দায়িত্ব নেন তখনকার সেনাপ্রধান এরশাদ। ১৯৮২-৮৩ সালে এইচ এম এরশাদের সরকারের সময়েও প্রায় ২০ মাস অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
গত ৬ অক্টোবর ৭৯ বছর পূর্ণ করা মুহিত গত নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাস বলছে, ওই আসনে যে দল জয় পায়, সেই দলই সরকার গঠন করে। এরশাদের সময়ে মন্ত্রিসভা ছাড়ার পর ১৯৯৪-৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেন মুহিত। এ পর্যন্ত তার ২১টি বই প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে সরকারি চাকরি ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখাও রয়েছে।
Leave a Reply