সিলেট মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর ডা. সায়েফ আহমদ এবং ১৮ দলীয় জোটের সদস্য সচিব ও নায়েবে আমীর হাফেজ আব্দুল হাই হারুন, জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমান, অলিউর রহমান ও মূসার শহরের পশ্চিম পীর মহল্লা এলাকায় অবস্থিত বাসাগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ। রোববার ছাত্রলীগ নেতা পাঙ্গাস এর নেত্বত্বে এক দল হামলাকারী উক্ত বাসাগুলোতে বেলা ২টার দিকে প্রথমে লুটপাট করে । পরবর্তীতে বাসাগুলোতে আগুন দেয়া হয় তারা। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে তাৎক্ষনিক ফোন করা হলেও তারা ঘটনাস্থালে আনেক দেরীতে আসে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
হামলাকারীরা এ সময় এক শিশুকে ছিনিয়ে নিতে চাইলে শিশুটির মা নিজের মোবাইল হামলাকারীদের দিয়ে সন্তানকে রক্ষা করেন। আগুনে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বাসাগুলো সম্পন্ন পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। এ ঘটনায় সিলেট শহরে থমথমে আবস্থা বিরাজ করছে। এর প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার বিক্ষোভ ও মঙ্গলবার সিলেটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে জামায়াত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নগরীতে পুলিশ-বিজিবি-রাব মোতায়েন করা হয়েছে।
জামায়াতে ভারপ্রাপ্ত আমির ডা. সায়েফ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি বাসায় ছিলাম না। দুপুরের দিকে সরকার দলীয় ক্যাডাররা আমার বাসাসহ ৫টি বাসায় আগুন দেয় এবং লুটপাট চালায়। মুজিবুর রহমানের স্ত্রী জানান, আমার বাসায় ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা আমার শিশু বাচ্চাকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে মোবাইল ফোনটি তাদের দিয়ে দেই। তাই তারা আমার বাচ্চাকে ছেড়ে দেয়।
জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে শহরের হাউজিংস্টেট এলাকায় ছাত্র শিবিরের সাথে ছাত্র লীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে বেলা ২টার দিকে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা পাঙ্গাস এর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা এই বাসাগুলোতে প্রথমে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় বাসায় থাকা লোকজন প্রাণ বাঁচাতে বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর ছাত্রলীগ প্রতিটি বাসায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া এ এলাকায় তারা জামায়াত কর্মীদের মালিকানাধীন কিছু দোকানেও লোটপাট চালিয়ে দোকানে থাকা লোকজনদের মারপিট করে মালামালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
Leave a Reply