রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে গুলি চালিয়েছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কার্যালয়ের ভেতরে ছিলেন। গোলাগুলির ঘটনা প্রসঙ্গে চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান জানান, একটি মোটর সাইকেলে করে এসে কয়েকজন বন্ধুকধারী কার্যালয়ের দিকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে দ্রুত বেগে পালিয়ে যায়।গোলাগুলিতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা যায়।
ওই ঘটনার প্রতিবাদেই সোমবার সকালে নয় পল্টনে কার্যালয়ের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করে দলটি। আগামী ৪ এপ্রিল সারাদেশে জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী দলীয় নেতার কার্যালয় লক্ষ্য করে গুলি করা মানে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ। অথচ সরকারের মন্ত্রীরা বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা বলতে চাই, আওয়ামী লীগই সারা জীবন সন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। সাধারণ মানুষের অধিকারের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনগনের উদ্দেশ্য মঙ্গলবার সারাদেশে ১৮ দলের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফল করারও আহবান জানান তিনি।
সমাবেশ শেষ হওয়ার প্রায় শেষ পর্যায়ে হঠাৎ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের একটি ভ্যানসহ তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়।
Leave a Reply