কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বিজয়পুর এলাকায় দুবৃত্তরা রেললাইন তুলে ফেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম-নোয়াখালীর সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন গুলো বিভিন্ন স্থানে আটকে আছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী তূর্ণা-নিশীথা ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ট্রেনটি ওই এলাকায় কেঁপে উঠে এবং মুহূর্তের মধ্যে ইঞ্জিনসহ ৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় কারো মারা যাবার খবর পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় চালকসহ প্রায় বিশ জনের মেতা যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আখাউড়া ও লাকসাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বগি উদ্ধারের কাজ শুরু করে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, প্রায় ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকল্প ব্যবস্থায় যাত্রী পারাপার শুরু করেছে রেল কতৃপক্ষ। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া মহানগর প্রভাতীর যাত্রীরা মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে কুমিল্লার পদুয়ারবাজারে দুর্ঘটনাস্থলের এক প্রান্তে পৌঁছে ৩০০ গজ হেঁটে অন্য প্রান্ত যান। তারপর সেখানে দাঁড় করিয়ে রাখা সূবর্ণ এক্সপ্রেসে চড়ে তারা রওনা হন চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সূবর্ণ এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন মহানগর প্রভাতীতে চড়ে।
পুলিশ বলছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতাকারী জামায়াত-শিবির এবং তাদের শরিকরাই এসব ঘটনার পেছনে জড়িত।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ মার্চ হরতালের মধ্যে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বেইস প্লেট খুলে রেল লাইন উপড়ে ফেলায় আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে সিলেটের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। আর গত ১ মার্চ ফেনীতে রেল নাইন উপড়ে ফেলায় মহানগর গোধূলী লাইনচ্যুত হয়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে ১১ ঘণ্টা। এছাড়া গত এক মাসে রাজশাহী, গাজীপুর ও ঢাকার কমলাপুরে ট্রেনে আগুন দেয়া হয়, বগুড়ায় পুড়িয়ে দেয়া হয় রেল স্টেশন।
Leave a Reply