শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৭

জুনেই চালু হচ্ছে থ্রিজি সার্ভিস

জুনেই চালু হচ্ছে থ্রিজি সার্ভিস

 

 

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশের পাচটি অপারেটরে চালু হচ্ছে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইল ফোন সার্ভিস। যা আগামী আগামী জুন মাস থেকে গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবেন বলে জানান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কতৃপক্ষ। গত ১৪ ও ২১ মার্চ বেসরকারি পাঁচটি মোবাইল ফোন অপারেটরের সঙ্গে থ্রিজির নিলাম নিয়ে প্রি-বিট বৈঠক করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন৷ ওই সব বৈঠকে কিছু সুযোগ-সুবিধার বিষয় নিয়ে একমত হতে পারেনি বিটিআরসি ও অপারেটররা৷ তবে ১২ মে থ্রিজির নিলামে অংশ নেয়ার দরখাস্ত জমা দেয়ার আগে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারে আশাবাদী বিটিআরসির কমিশনার আবদুস সামাদ৷ বর্তমানে একমাত্র রাষ্ট্রায়াত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটক-এ এই থ্রিজি সেবা চালু রয়েছে।

বেসরকারি অপারেটরদের থ্রিজি লাইসেন্স দেয়া জন্য ইতিমধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ নিলামে আগ্রহীদের আগামী ১২ মে’র মধ্যে দরখাস্ত জমা দিতে হবে৷ এ দরখাস্ত যাচাই-বাছাই করে ২০ মে নিলামযোগ্য অপারেটরদের নাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে৷ আগামী ৩০ মে’র মধ্যে নির্বাচিত অপারেটরদের বিড আর্নেস্ট মানি হিসেবে ২ কোটি ডলার জমা দিতে হবে৷ আর চূড়ান্ত নিলামে অংশগ্রহণে যোগ্য অপারেটরদের নাম আগামী ৫ জুন প্রকাশ করবে বিটিআরসি৷ এসব প্রক্রিয়ার পর আগামী ২৪ জুন থ্রিজির চূড়ান্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হবে৷

বিটিআরসির কমিশনার জানান, নির্দিষ্ট সময়েই সব অপারেটররা যাতে নিলামে অংশ নেয় তার সব ব্যবস্থার আয়োজন করবে বিটিআরসি৷ তবে সবগুলো মোবাইল ফোন অপারেটর থ্রিজির লাইসেন্স পাচ্ছেন না৷ রাষ্ট্রীয় অপারেটর হিসেবে টেলিটক গত ১৪ই অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা শুরু করেছে৷ আর বেসরকারি চারটি অপারেটরকে এই লাইসেন্স দেয়া হবে৷ এর মধ্যে আবার নতুন একটি অপারেটর থাকবে৷ ফলে বাংলাদেশে বিদ্যমান পাঁচটি বেসরকারি অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল ও সিটিসেলের মধ্যে তিনটি অপারেটর এই লাইসেন্স পাবে৷

গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতি মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের তরঙ্গ মূল্য ২ কোটি ডলার নির্ধারণ করে থ্রিজি লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়৷ চূড়ান্ত নীতিমালায় বাংলাদেশের বেসরকারি পাঁচ মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে তিনটি এবং নতুন একটি অপারেটরকে লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ খসড়া নীতিমালা  অনুযায়ী টেলিটক নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে যে দর উঠবে, সে পরিমাণ টাকা দিয়েই টেলিটককে লাইসেন্স নিতে হবে৷

প্রসঙ্গত, টুজি লাইসেন্স নবায়নের জন্য সরকারকে দেয়া টাকার উপর ১৫ শতাংশ রিবেট সুবিধা দাবি করে আসছিল অপারেটররা৷ অর্থমন্ত্রী তাদের এই রিবেট সুবিধা দেয়া আশ্বাসও দিয়েছিলেন৷ সবশেষ গত ১৩ই মার্চ অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর রিবেট সুবিধা দেয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন৷ অবশ্য থ্রিজিতে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন৷

অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল ফোন অপারেটরস (এমটব)-এর সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবীর বলেন, সরকার টুজির ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেয়ার আশ্বাস দিয়েও পরে তা দেয়নি৷ এখন থ্রিজিতে কিছু আশ্বাস দিয়েছে৷ এগুলো শুধু মৌখিক হলে হবে না, দালিলিক কিছু থাকতে হবে৷ তাহলেই অপারেটররা থ্রিজির নিলামে অংশ নেবে৷

বাংলাদেশের প্রধান মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সাথে আলাপকালে চিফ কমিউনিকেশন অফিসার আজিজুল হক বলেন, থ্রিজি লাইসেন্স দিলেই শুধু হবে না, এটি গ্রাহকবান্ধব যাতে হয়, গ্রাহকরা স্বচন্দ্যে ব্যবহার করতে পারেন সেদিকেও নজর রাখতে হবে৷ লাইসেন্স নিতে অপারেটরদের অনেক বেশি টাকা দিতে হলে তার প্রভাব পড়বে গ্রাহকদের উপর৷ তাই সেদিকে সরকারকেই খেয়াল রাখতে হবে।

সূত্র: ডয়াচে ভেল ।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024