শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৬

৬ এপ্রিল দেশে কি হতে যাচ্ছে?

৬ এপ্রিল দেশে কি হতে যাচ্ছে?

 

 

 

 

 

 

 

 

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ : এই মুহূর্তে বাংলাদেশে টান-টান এক উত্তেজনা, চায়ের টেবিল, টেলিভিশনের সংবাদ, পত্রিকার পাতায়, হাটে-বাজারে সর্বত্র এক গরম আলোচনা ৬ তারিখ কি ঘটতে যাচ্ছে দেশে ? ৬-এপ্রিল চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ও দেশের বরেণ্যে আলেম, শায়খুল হাদিস আল্লামা আহমদ শফীর প্রতিষ্ঠিত ও ডাকে হেফাজতে ইসলাম নামের এই সংগঠনের ডাকে ঢাকা অভিমুখী লং মার্চ নিয়েই মূলত দেশে এখন টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।সরকারের মন্ত্রী ও নীতি-নির্ধারনীদের ঘন-ঘন চট্টগ্রাম যাতায়াত, একাধিক মন্ত্রীর একসাথে প্রেস কনফারেন্স, ঘন-ঘন সচিবালয়ে মন্ত্রীদের যৌথ বৈঠক, একনেকের বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরকার দলীয় সাংসদ তোফায়েল আহমদের এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সাংসদ রাশেদ খান মেননের হতাশা প্রকাশ থেকেই জনমনে বলতে গেলেই এক ধরনের বদ্ধমূল ধারণা হচ্ছে যে সরকার তার ত্রি-মুখী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক গেইম খেলতে গিয়ে নিজেই এখন বেকায়দায় পড়ে হেফাজতের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চলেছে। কেননা সরকারের সামনে লক্ষ্য আগামী নির্বাচন। সরকার কোন অবস্থাতেই হেফাজতে ইসলামকে এই মুহূর্তে ক্ষেপাতে চাইবেনা। ইতিপূর্বে সরকার জামায়াত ইস্যুতে হেফাজতের প্রতি যে কঠোর নীতিতে অটল ছিলো, তা থেকে সরকার যে সরে এসেছে, অতি সম্প্রতি শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের ব্লগারদের ধর-পাকড় শুরুতে দেশবাসী এখন অনেকটাই বিভ্রান্তিতে পড়ে গেছেন, সরকার কোন পথে হাঁটছে। এই দেখা যায়, শাহবাগী ব্লগারদের সাথে একেবারে আট-ঘাট নেমে মাঠে, আবার রাত পোহানোর আগেই দেখা যায় হেফাজতের দাবীর প্রতি নমনীয় হয়ে ব্লগারদের লিস্ট তৈরি করে গ্রেপ্তারের মিশনে ব্যস্ত। চার মন্ত্রীদের যৌথ প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকার জানিয়ে দিয়েছে ইসলামের অবমানকারী, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননাকারি ব্লগারদের রক্ষা নেই। অথচ সরকারের ভিতর থেকেই কিছুদিন আগে অন্য রকম খেলার চাল ছিলো, মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে লাজ-শরম ভুলে গিয়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি কটূক্তিকে অতি সাধারণ বিষয় হিসেবে মন্তব্য করে ব্লগারদের আরো উৎসাহিত করেছিলো।

এহেন অবস্থায় হঠাৎ করে পরিচিতি পাওয়া হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে স্বঘোষিত নাস্তিক ব্লগারদের এবং মহানবী ও ইসলামের অবমানকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের ব্যবস্থা না করলে ৬ এপ্রিল ঢাকা অভিমুখী লং মার্চ। অথচ সরকার বলা যায় হেফাজতের দাবীর কাছে মাথানত করে নাস্তিক ব্লগারদের লিস্ট করে ধর- পাকড় শুরু করে দিয়েছে। হেফাজত বলছে, এটা আই-ওয়াশ, সুতরাং তাদের কর্মসূচী চলবে।হেফাজত এখানেই থেমে থাকেনি।গতকাল ঢাকা মহানগর হেফাজত বিশাল শো-ডাউন করে জানান দিয়েছে, তাদের শক্তির কথা।সেই সমাবেশে মহানগর হেফাজতের আমীর আল্লামা নূর কাশেমী ঘোষণা করেছেন, ৬ এপ্রিলের লং মার্চ বাধা প্রদান করা হলে লাগাতর হরতাল কর্মসূচী দেয়া হবে।ইতিমধ্যে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট এবং বি চৌধুরীর বিকল্প ধারা হেফাজতের লং মার্চের প্রতি প্রকাশ্য এবং নৈতিক সমর্থন ঘোষণা করেছেন। ধর্মীয় সংগঠনের ব্যানারে ঘোষিত লং মার্চ এখন রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিগ্রহ লাভ করছে সন্দেহ নেই।

আর চার মন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম খা আলমগির বলেছেন, হেফাজতের শান্তিপূর্ণ লং মার্চে সরকার সহযোগিতা দিবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ম খা আলমগির আরো বলেছেন, হেফাজতের লং মার্চে রাজনৈতিক দলকে অংশ গ্রহণ করতে দেয়া হবেনা।

ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ ঘরানার ২৪টি সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে ৬ এপ্রিল দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। মাত্র দুদিন আগে তিন ব্লগারের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সমাবেশে শাহবাগী ডা এইচ ইমরান সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে। ডাঃ ইমরান বলেছে, কারো রক্তচক্ষুকে প্রজন্ম চত্বর ভয় পায়না।

এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে হেফাজতে ইসলামের লং মার্চকে কেন্দ্র করে নাগরিক অধিকার কমিটির ব্যানারে লেখক, বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মাযহার স্পষ্টত সংবিধানের মৌলিক অধিকারের কথা উল্লেখ করে হেফাজতের লং মার্চকে তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ বলে উল্লেখ করেছেন, যদিও তিনি শান্তিপূর্ণ লং মার্চ এর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। অপরদিকে একইস্থানে অনুষ্ঠিত একটু পরে হক্কানি আলেম সমাজের ব্যানারে হেফাজতে ইসলামের লং মার্চের বিরোধিতা করে বলা হয়েছে, এতে বরং আল্লামা আহমদ শফীর জীবন হানির শঙ্কা রয়েছে, জামায়াত সহ জঙ্গি সংগঠন সহিংসতা ঘটানোর ব্যাপক সুযোগ পাবে।

অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে একনেকের প্রাক-বাজেট বৈঠকে তোফায়েল আহমেদ বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে বলেছেন, এখন পর্যন্ত সরকারের কোন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হচ্ছেনা। সরকারের বর্তমান কর্মকাণ্ডে তোফায়েল নিজেই বিভ্রান্ত, কেননা বুঝতে পারছেননা সরকার কোন পথে হাঁটছে। জনগণ যদি সরকারের কর্মকাণ্ডে বিভ্রান্ত হয়, তা খুব ভালো শাসনের লক্ষণ নয়। রাশেদ খান মেনন আরো একধাপ এগিয়ে সরকারের দুই নৌকায় পা দিয়ে চলায় বড় হতাশ এবং শঙ্কিত । মেনন বলেন এতে আমও যাবে, ছালাও যাবে।

এই যখন টান-টান উত্তেজনা ও বিভ্রান্তিময় রাজনৈতিক ঘোলাটে অবস্থা দৃশ্যমান, ঠিক তখনি হোসেইন  মোহাম্মদ এরশাদ বোমা ফাটালেন।তিনি শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেই নির্বাচনে নিজের চ্যালেঞ্জের কথা জানান দিলেন।
আসলে দেশে এখন কে যে কোন দিকে খেলে চলেছে বুঝা মুস্কিল। শেখ হাসিনা নিজের মতো খেলে চলেছেন। নিজ দলীয় অনেক সিনিয়র ও মহাজোটের অনেক নেতাই জানেননা, একটু পরে রাজনীতির দৃশ্যপটে কোন নাটক মঞ্চস্থ হতে চলেছে।উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা নেট ওয়ার্ক আর কতিপয় উগ্র বামপন্থী আর পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই সরকারের উপর ভর করে গোটা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে চলেছে।এরা ঘন-ঘন কৌশল পাল্টাচ্ছে, কারো সাথে লিয়াজো ও পরামর্শের প্রয়োজন মনে করছেনা।শেখ হাসিনার মিনি কেবিনেট এখন বড় ছোট হয়ে আসছে।সব সিদ্ধান্ত এখন এই ঘরোয়া ছোট কেবিনেট থেকেই নেয়া হচ্ছে। এরাই চট্টগ্রামে আল্লামা শফীর সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেছে এককভাবে।এরাই এখন শাহবাগি প্রজন্ম চত্বরকে গুটিয়ে নিতে শেখ হাসিনাকে উপদেশ দিয়ে তা কার্যকর করতে চলেছে। শাহবাগি প্রজন্ম চত্বর যদি সরকারের এই কৌশলে গুটিয়ে না নেয়, তবে এদের উপর আরো কঠোর দমন-পীড়ন যেমন আসবে, একই সাথে ছাত্রলীগের শ্বেত- সন্ত্রাস মাঠে নামানো হবে, এই রকম পরিস্থিতির তৈরির অপেক্ষায় এখন ছাত্রলীগ হাই কমান্ডের আদেশের অপেক্ষায়। যে কারণে বিশাল সমর্থন থাকা সত্বেও রুমী স্কোয়াড অনশন ভাঙ্গতে বাধ্য হয়।

গোয়েন্দারা ঘন-ঘন রিপোর্ট দিয়ে চলেছে। হেফাজতের লং মার্চকে কেন্দ্র করে আগাম নাশকতা ও সহিংসতার কথা বলা হচ্ছে।যদি তাই হয়, গোয়েন্দা রিপোর্ট যদি এতো অকাট্য এবং এভিডেন্স নির্ভর হয়ে থাকে তাহলে হেফাজতে ইসলামের এই লং মার্চ চলতে দেয়া হচ্ছে কেন? আসলে সরকার এখন নিজেদের ছকে খেলায় মত্ত। সরকার বুঝে গেছে বাংলাদেশের খেলার বল এখন শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে হেফাজতের গোল পোষ্ট হয়ে সরকারের পোষ্টে এসে গেছে। সুতরাং যে যত কথাই বলুক সরকার এখন তার নিজের অস্তিত্বের প্রয়োজনে হেফাজতে ইসলামের কাছে নতজানু হয়ে খেলে চলতে বাধ্য। সরকার বাংলাদেশের রাজনীতির এই অবস্থানকে নিজেদের ভুল চালে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।জাতির কাঁধে রাজনৈতিক এই বিশৃঙ্খলা, ধর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং রাজাকার, ধর্ম এবং ধর্মহীন শাহবাগি ব্লগার- এই অবস্থানের মুখোমুখি শেখ হাসিনা এবং তার মিনি কেবিনেট নিয়ে এসেছেন। এই ডেঞ্জার খেলায় এখন শেখ হাসিনা এককভাবে খেলছেন।খালেদা জিয়া যাতে মাঝপথে হেফাজতে ইসলামের লং মার্চ থেকে কোন ফায়দা লুটতে না পারেন, পরিস্থিতিকে যাতে খালেদা জিয়া নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যেতে না পারেন, সরকার তাই হেফাজতের সাথে সব ধরনের নেগোসিয়েশনে যেমন যাবে, দাবির প্রতি যেমন নমনীয় হবে, লং মার্চে যেমন সহযোগিতা করবে, একই সাথে বিএনপি ও ১৮ দলের প্রতি থাকবে কঠোর, জামায়াত দমনের নামে, হেফাজতের লং মার্চে আবার নাশকতা রোধে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চালাতেও দ্বিধা করবেনা, শাহবাগিদের জন্য আপাততঃ সরকার হবে কঠোর- সরকারের মোক্ষম কাজ এখন যেকোনো মূল্যে এখনকার রাজনৈতিক অবস্থানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়া।

সরকারের এই চাল নিজেদের জন্য বুমেরাং হতে বাধ্য। আওয়ামীলীগ ঘরানার ২৪ সংগঠন ইতিমধ্যে হরতাল ঘোষণা করে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে ফেলেছেন। জামায়াত, হুজি, আর আব্দুস সালাম নামক নব গঠিত জঙ্গি সংগঠনগুলো নিজেদের পূর্ণ শক্তি নিয়েই হেফাজতের সাথে মিশে মাঠে নামবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এরা যেকোনো নাশকতা ঘটাতে পারঙ্গম এবং পিছুপা হবেনা।যেই নাশকতা করুক (সরকার,জামায়াত,হুজি)- হেফাজতের এই লং মার্চের সুযোগে একে অন্যকে দোষারোপ করে মাঠ গরমের রাজনীতি করার মোক্ষম সুযোগ হাত ছাড়া করবেনা।

ইতিমধ্যে হরতালের ভয়াবহতা আর অর্থনীতির বারোটা বাজার জন্য ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার পরেও একের পর এক হরতাল চলছে।আরো হরতাল অবশ্যম্ভাবী- এতে কোন সন্দেহ নাই। ৬ এপ্রিলের এমন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হরতালের মতো দেশের অর্থনীতি ধ্বংসকারী কর্মসূচী যে আসবে- তাতো আগাম অনুমান যে কেউই করতে পারেন। অনেকেই ভাবছেন, ৬ এপ্রিল লং মার্চ কেন্দ্র করে দেশে আবার লঘি-বৈঠার মতো প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ খুনের নৃত্য কি আবার ফিরে আসবে ? সে আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায়না। শহীদ মিনারের সমাবেশে ডঃ এম এম আকাশ সহ ডঃ আইনুন নিশাত অনেকটা প্রকাশ্যে সেই আশঙ্কার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। ডঃ আকাশ অবশ্য আরেকটু এগিয়ে সামরিক শাসন আনার পায়তারা হিসেবে উল্লেখ করে সরকারের ও হেফাজতের সমালোচনা করেছেন।কেননা সংঘাত এবং সহিংসতা কোনভাবে রাজনৈতিক সমাধানের পথকে আরো জটিল এবং অনিশ্চিত পথের দিকেই নিয়ে যায়-অতীতে এমনকি নিকট অতীতের ১/১১র ঘটনা আমাদেরকে তাই বলে। সরকারের এই রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী খেলা এবং ৬ এপ্রিলের হেফাজতে ইসলামের লং মার্চ এই রাজনীতি তবে কি দেশ ভয়াবহ এক সংঘাতের দিকে যাচ্ছে ? ক্রমবর্ধমান সংঘাত, হত্যা, রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের লোককে নির্মম নির্যাতন, ১০/১৫ জন লোক ঘিরে একজন পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক ভাবে পেটানো,বেহুশ হয়ে যাওয়ার পরে ইট দিয়ে মাথায় পশুর মতো আক্রমণ, লাথি,  বোমার আঘাতে পুলিশের দুই কব্জি উড়ে যাওয়া, আবার নিরীহ মাওলানা বেলালকে নির্মমভাবে পুলিশের নির্যাতন- এই সবতো কোন সভ্য সমাজের লক্ষণ নয়। এতো অসভ্যতা, এতো আদিম-বর্বর কায়দায় আঘাত-হত্যা – এইসব দেখে বিশ্ব আজ থমকে গেছে, কোথায় চলেছি আমরা, এই কি আমাদের রাজনীতি? এই কি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, এর নামতো গণতন্ত্র নয়। এই রকম আদিম-বর্বর-সহিংসতা উত্তর পাড়ার ঐ চৌকস বাহিনীকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেয়ার জন্যে সকলেই দায়ী।অবস্থা দেখেতো তাই মনে হয়, ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাইনা- এর মতো তোরা এসে আমাদের উদ্ধার কর বাচা ধন।এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে আর এতো সহিংসতা না করলেই কি নয় ? বাংলাদেশ আর কতো ভোগান্তি সইবে ? জন্মের পর থেকে ৪২ বছর অবধি এই দেশ আর এই জাতির কপাল থেকে কি এই বিশৃঙ্খলাপূর্ণ রাজনৈতিক অপ-সংস্কৃতি থেকে রেহাই পাবেনা ? নেতা-নেত্রীরা কি একটু উদার এবং গণতান্ত্রিক আচরণের রাজনৈতিক সহিঞ্চু সংস্কৃতি চালু করতে পারেননা ? আমরা কি এই সব সংঘাত আর সহিংসুতা নিয়েই বেচে থাকবো? এভাবে আর কতো?

Salim932@googlemail.com




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024