স্বদেশ জুড়ে: হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সমর্থন জানিয়ে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার বিকাল প্রায় সোয়া ৩টার দিকে হেফাজতে ইসলামের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাতে শাপলা চত্বরের সমাবেশ মঞ্চে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ও সহ-সভাপতি সাদেক হোসেন খোকাসহ একটি প্রতিনিধি দল। অবশ্য বিএনপি হেফাজতের এই আন্দোলনকে আগেই নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। যা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আগেই পরিস্কার করেন তাদের নৈতিকভাবে সম্মতি রয়েছে বলে।
এর কিছুক্ষণ পর জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সেখানে গিয়ে দলের পক্ষ থেকে সংহতি জানান।
নাস্তিক’ ব্লগারদের শাস্তিসহ ১৩টি দাবিতে লংমার্চ করে মতিঝিলে এই সমাবেশ করছে গণজাগরণবিরোধী হেফাজতে ইসলাম। তাদের ১৩টি দাবির মধ্যে রয়েছে- ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা। দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত ভাস্কর্য স্থাপন বন্ধের দাবিও জানান হেফাজত নেতৃবৃন্দ।
হেফাজতের সমাবেশ থেকে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, ইসলাম ও আমদের প্রিয় নবী হজরত মুহম্মদ (স.) এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে এদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই সমাবেশে এসেছে। এটা কোন রাজনৈতিক জনসভা নয়। আমরাও এই সমাবেশের দাবির প্রতি সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ করেছি। আশা করছি যে, সরকার এখন ৯০ ভাগ মুসলমানের ভাষা বুঝবে। অন্যথায় ফলাফল ভালো হবে না।
টঙ্গীতে হেফাজতে ইসলামের পাশে বিএনপির সাবেক সাংসদ সহ নেতাকমী
শনিবার সকাল থেকে দেখা যায় গাজীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা টঙ্গীর প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে লংমার্চকারীদের খাবার ও পানি দেন। হেফাজত কর্মীরা বাস না পেয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত গাজীপুর ও আশে-পাশের জেলার হেফাজতে ইসলামীর কয়েক হাজার নেতা-কর্মী হেঁটেই ঢাকার পথে রওনা হন। এ সময় হেফাজতে ইসলামের লংমার্চকারীদের বিস্কুট, রুটি ও বোতলজাত পানি বিতরণ করেছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার।
Leave a Reply